শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৮ দুপুর
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইয়াবা পৌঁছে দিলেই পেতেন ৩ লাখ টাকা!

নিউজ ডেস্ক: দুজন শিক্ষার্থী আর একজন কৃষক। সঙ্গী আরও একজন। চারজন মিলে ১ লাখ ৪৬ হাজার ইয়াবা নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। পৌঁছে দিতে পারলেই মিলবে নগদ ৩ লাখ টাকা। নগদ টাকার হাতছানি তাদের ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে। তবে ইয়াবাগুলো নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে পৌঁছে দেওয়ার আগেই ধরা পড়েছেন তিনজনই। অন্যজন মাঝপথে নেমে যান। তাকে পুলিশ খুঁজছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালী-চট্টগ্রাম সড়কের আনোয়ার কালাবিবির দীঘির মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল ছাড়াও পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- মাহমুদুল হক, মো. ইব্রাহিম ও জাহেদ হোসাইন। তাদের বাড়ি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল এলাকায়। তাদের মধ্যে মাহমুদুল হক টেকনাফ কলেজের বিবিএ ও জাহেদ হোসাইন একই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং ইব্রাহিম কৃষক। তারা বহনকারী হিসেবে ইয়াবা নিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রামে। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। তিনি পটিয়া এলাকায় এসে চট্টগ্রামে আর আসেননি।

পুলিশ সূত্র জানায়, বাঁশখালী-চট্টগ্রাম সড়কের আনোয়ারা কালাবিবির দীঘির মোড়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে থামার ইঙ্গিত দিলে তারা মোটরসাইকেল রেখে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। আটকের পর তল্লাশি চালালে তাদের দুটি ব্যাকপ্যাকে ১৪টি ইটসদৃশ খাকি কাগজে মোড়ানো প্যাকেটের প্রতিটিতে দশ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৩০টি নীল রং পলিপ্যাকের প্রতিটিতে দুইশ পিস ইয়াবসহ মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম নিয়ে আসছিলেন। চট্টগ্রামে এ ইয়াবার চালান পৌঁছে দিলে তারা তিন লাখ টাকা পেতেন। কার কাছে এসব চালান পৌঁছানোর কথা ছিল তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গী মাঝপথে নেমে যাওয়া ওই ব্যক্তিকেও খোঁজা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। আর ইয়াবা পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আনোয়ারা, পটিয়া ও বাঁশখালী সড়ক। এসব স্থানে গোয়েন্দা নজরদারিসহ পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আপনার সন্তান কী করছে সেটা খোঁজ রাখুন। তারা স্কুল-কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখুন। কারণ শিক্ষার্থীদের টাকার লোভ দেখিয়ে মাদক কারবারে ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা। তাই পরিবারকে সচেতন থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার প্রমুখ। সূত্র: আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়