সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. শিমুল মিয়া (২৯), মো. শাহিন মাতুব্বর (২৮) ও এমডি মহিদুল (২৬)।
[৩] বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা ওয়ারীর সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম।
গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রধানত ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা করে থাকে। প্রথম গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে অবস্থান করে বিভিন্ন বিকাশের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পূর্বে লেনদেনকৃত বিকাশ খাতার ছবি তুলে নেয় তারা। পরে ওই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে স্থান ঊল্লেখ করে পাঠিয়ে দেয়।
[৪] দ্বিতীয় গ্রুপ তার কাছে পাঠানো বিকাশ খাতা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ দোকানদার সেজে কল করে এবং জানতে চায় যে, তাদের কাছে পাঠানো টাকা তারা পেয়েছেন কিনা এবং ক্যাশ আউট করেছেন কিনা। যদি বলে পেয়েছি কিন্তু টাকা তুলিনি বা ক্যাশ আউট করেনি তখন প্রতারকরা তাদের প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার শুরু করে। প্রতারণার ছলে বলতে থাকে যে, আমার দোকান হতে একই সময়ে কয়েকটি নাম্বারে পাঠানো টাকা নিয়ে অভিযোগ আসায় তাদের নাম্বার লক করতে গিয়ে আপনার নাম্বারও লক হয়ে গেছে। আপনাকে বিকাশ অফিস হতে ফোন করে আনলক করে দেবে।
[৫] পুলিশ কর্মকর্তা আহাদ বলেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস অফিসার পরিচয় দিয়ে, অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অফিসের নাম্বার ক্লোনিং করে ফোন দেয়। ফোন করে বিভিন্ন কথার ছলে ওটিপি এবং বিকাশ পিনকোড নিয়ে নেয়। এরপর প্রতারক চক্র গ্রাহকের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ও এ্যাকাউন্ট আনলক করার কথা বলে ভিকটিমের বিকাশ এ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। এই ভাবে হাতিয়ে নেওয়া টাকা মাঠ পর্যায়ে থাকা সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ গ্রুপের কাছে পাঠানো হয়।
[৬] গোয়েন্দা ওয়ারীর ডিসি আ. আহাদ আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের ম্যানেজার অথবা বিকাশ এজেন্ট সেজে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে তাদের বিকাশ একাউন্ট হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করছিল।