ইমরুল শাহেদ: তিনি মান্নান গাজীপুরী পরিচালিত ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’ ছবি থেকে সরে আসার পর এই মন্তব্য করেছেন। ছবিটির পরিচালক কিছুদিন আগে সাত ছবি বয়সী নায়ক আশিক ও নবাগত হুমায়রা সুবাহকে নিয়ে একটি চীনা রেস্তোরাঁয় বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে মহরত করেছেন। মহরতে চলচ্চিত্রশিল্পের অনেকেই ছিলেন। নায়ক-নায়িকার যুগল ছবিও বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুকে স্থান পায়। কিন্তু হঠাৎ করেই জানা গেল, শুটিং জোনে রয়েছেন নিলয়। তারা যে নায়ক বদল করেছেন সেটা আশিককে জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি।
আশিক বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে তাদের আমি লিখিত শিডিউল দিয়েছি। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমি পরিচালক ও প্রযোজককে অনেক বার ফোন দিয়েছি। তারা আমার ফোন রিসিভ করেননি। তবে পরিচালক একবার ফোন রিসিভ করে আমাকে বলেছেন, প্রযোজক আপতত আমার শুটিং বন্ধ রাখতে বলেছেন। তবে আমাকে এই বিষয়টিও জানাননি। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম তারা অন্য একজন নায়ককে নিয়ে কাজ করছেন।’ এই নিয়ে আশিক শিল্পী সমিতিতে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একজন নায়কের কয়টি ছবি মুক্তি পেলে তিনি পুরনো হন।
আমার সাতটি ছবি মুক্তি পেয়েছে এবং শিল্পী সমিতির পূর্ণাঙ্গ সদস্য আমি। আর কতগুলো ছবি মুক্তি পেলে আমি পুরনো হবো?’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিটির প্রযোজক এবং পরিচালক ছাড়া নায়িকা সুবাহও তার সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন। কিন্তু সমস্যা কোথায়? অভিযোগে আশিক বলেছেন, তিনি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটকেও কাজ করেন। তারা যদি তাকে শিডিউল বাতিলের বিষয়টি অবহিত করতেন তাহলে তাকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। এই শিডিউল তিনি নাটকে কাজে লাগাতেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা ইতোমধ্যেই খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন এই ঘটনার নেপথ্য কারিগর কে এবং তৃতীয় ব্যক্তিটা কে? চলচ্চিত্রে এখন চলছে দুর্দিন। এর মধ্যে এসব ঘটনা চলচ্চিত্রের ভাবমূর্তিই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আপনার মতামত লিখুন :