বগুড়া প্রতিনিধি: [২] জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপির শিমুল মিয়া (২৭) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে তাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশটি গোবিন্দগঞ্জে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
[৩] সোমবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া বাজার থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত শিমুল মিয়া বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপির মোন্নাপাড়া গ্রামের মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় সোমবার রাতেই নিহতের ভাই মোঃ রায়হান মিয়া বাদী হয়ে বিহার ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ মহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
[৪] মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিহার ইউপির শিমুল মিয়া (২৭) বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে সদরের টেংরা বন্দরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামলে বিহার ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাসে তাঁকে টানা হেচড়া করে তুলে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে শিমুলকে হত্যা নিশ্চিত ভেবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দী লাশ ফেলে যায় তারা। এসময় পথচারীরা রাস্তার পাশে বস্তার ভেতর থেকে গোংগানি শব্দ শুনতে পায়, তাঁরা এবং এগিয়ে গিয়ে বস্তার মুখ খুলে তার সাথে কথা বললে সে বাচাঁর আকুতি করে এবং তার নাম ঠিকানা ও ঘটনা খুলে বলে। তখন শিমুলকে উদ্ধার করে ফুলপুকুরিয়া বাজারে একটি পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতে ফুলপুকুরিয়া বাজার থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার লাশটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
[৫] নিহতের বড় ভাই ইউপি সদস্য রায়হান ইসলাম এ প্রতিবেদক-কে বলেন, বিহার ইউপি নির্বাচনের পর থেকে চেয়ারম্যান মোঃ মহিদুল আমার ভাইকে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে ব্যবহার করত। আমার ভাই সেই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করে চেয়ারম্যানের কাজ থেকে সড়ে যায়। একারণে চেয়ারম্যানের সাথে কার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপরেও তাকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে ৯/১০ মামলা দিয়ে হয়রানী করে। সর্বশেষ তাকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক আমার ভাই এর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
[৬] গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদক-কে বলেন, শিমুলকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। তাঁর একটি পা কোপানো ও ভাঙ্গা ছিলো এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :