আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] কঙ্গোর দূরবর্তী এক শহর ইনজেনডের একটি ছোট হাসপাতালে রক্তক্ষরণজনিত রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া এক নারী অপেক্ষা করছিলেন ইবোলা পরীক্ষার ফল পাবার। এই রোগী বা আরও রোগীরা তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন স্বচ্ছ পলিথিন শিটের মাধ্যমে। এই ভয়ানক রোগটির ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিস্কার হবার পর অবশ্য মৃত্যুহার কমে গেছে। তবে এটির প্রাণনাশ ক্ষমতা এখনও অনেক বেশি। সিএনএন
[৩] এই নামহীন হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা ডা. দাদিন বোনকোলেকে বলা যায় ইবোলার মতো প্রাহারী অতিমহামারী মোকাবেলার একজন বীরপুরুষ। তার মতো দক্ষ চিকিৎসক ভয়াবহ দূর্গম এক এলাকার এক অখ্যাত শহরের ততোধিক অখ্যাত হাসপাতালে পড়ে আছেন বছরের পর বছর ধরে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকা উচিৎ। ইবোলা অপরিচিত ছিলো। কোভিড অপরিচিত ছিলো। আমাদের সামনে এর চেয়ে ভয়ানক রোগ আসবে, এটি মাথায় রাখা প্রয়োজন।’
[৪] ১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস আবিস্কারে সহায়তা করেছিলেন প্রফেসর জিয়ান-জ্যাকস মিউম্বে টামফাম। তিনি মনে করেন, আফ্রিকান বর্ষাবনে অজস্র প্রাণঘাতি ভাইরাস লুকিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি, যেখানে যে কোনও মুহূর্তে নতুন প্যাথোজেন অবমুক্ত হতে পারে। এটি হতে পারে মানবতার জন্য হুমকিস্বরুপ। ’ তরুণ গবেষক হিসেবে মুয়াম্বে নতুন এক রহস্যময় রোগের ব্লাড স্যাম্পল পরীক্ষা করেন, যাতে ৮৮ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছিলেন। এটিই ছিলো ইবোলা ভাইরাস।
আপনার মতামত লিখুন :