মনিরুল ইসলাম: [২] একাদশ জাতীয় সংসদের ২০২১ সালে প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। সংবিধানের ৭৩(২) অনুযায়ী 'প্রত্যেক বৎসর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণদান করিবেন'। এই বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রতি আব্দুল হামিদ সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দিবেন।
[৩] জানুয়ারি মাসে ডাকা হবে চলতি জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন। গত ১৯ নভেম্বর সমাপ্তি হয় জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন।
আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
[৪] সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী' সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি এবং পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ষাট দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকিবে না'। এ অনুযায়ী আগামী ১৯ জানুয়ারি মধ্যে রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিবেশন আহবান করবেন।
[৫] এদিকে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণে ১০টি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক চিত্র, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে গৃহীত কর্মসূচির বিশদ বর্ণনা রয়েছে।
[৬] সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ভাষণ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
[৭] বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
[৮] দেশের রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংসদের প্রথম অধিবেশন ও প্রতি বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেই প্রথা অনুযায়ী ২০২১ সালের প্রথম অধিবেশনেও ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ২০২১ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে বসছে তা এখনও চূড়ান্ত করেননি রাষ্ট্রপতি।
[৯] জানা গেছে, , রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্ব পাওয়া ১০টি বিষয় হচ্ছে ১. দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক চিত্র। ২. দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য। ৩. রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে গৃহীত কর্মসূচি এবং রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন। ৪. দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান। ৫. ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন। ৬. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রসার। ৭. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি। ৮. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য। ৯. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও এজন্য গৃহীত কর্মসূচি এবং প্রশাসনিক নীতি-কৌশল উন্নয়ন দর্শন এবং ১০. অগ্রযাত্রার দিকনির্দেশনা।
[১০] উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশন গত ১৯ নভেম্বর শেষ হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অধিবেশন সমাপ্তি-সংক্রান্ত ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে ওই অধিবেশন সমাপ্ত হয়।
গত ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ কার্যদিবস এ অধিবেশনে চলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :