আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]পাঠ্যক্রমে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানো হয়, প্রকাশ করা হয় আবার এক হওয়ার আশা: স্টেটসম্যানের প্রতিবেদন
[৩] এসে চলে গেলো পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার দিন ১৬ ডিসেম্বর। দেশটির কোনও পর্যায়েই এই দিনটিকে স্মরণ করা হয় না। সব মিলিয়ে বিভিন্ন রিসার্চ ইন্সটিটিউট ও এনজিও গোটা দুয়েক সেমিনার আয়োজন করেছে পরাজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে। কিন্তু সেখানে অংশ ছিলো না সাধারণ মানুষের। তারা জানেও না, পাকিস্তান গণহত্যা চালিয়েছিলো নিজের অংশ বলে পরিচিত এক জনগোষ্ঠীর ওপর।
[৪] বরং সেমিনারগুলোতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৩৫ জন মারা গেলেন নাকি ১ মিলিয়ন তাতে কি কিছু এসে যায়? কিংবা ‘মাত্র ৫ হাজার’ নারী ধর্ষণের শিকার হলেও ভারত সেটিকে লাখ লাখ বলছে কেনো? পাকিস্তানিরা মনে করে, এই যুদ্ধে তারা ভারতের কাছে হেরেছে। ভারত যে একটি হেরে যাওয়া বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পন করিয়েছে, সে কথা ভুলেও মুখে আনেন না পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা।
[৫] টেলিগ্রাফ জানতে চেয়েছিলো সাধারণ পাকিস্তানিদের কাছে, তারা কি জানে, একজন বাঙালি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক না থাকলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। আরেক বাঙালি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ত্রিজাতি তত্ত্ব অস্বীকার করেছিলেন বলেই কথিত সংযুক্ত পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিলো। ১০০ তরুণ ও ৪৫ বুদ্ধিজীবীর প্রায় কেউই এই দুই জনকে চিনতে পারেননি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :