শিরোনাম

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০৯ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে গোল বেধেছে সাগরের মাছ নিয়ে

আখিরুজ্জামান সোহান: ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে আলোচনার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সুরাহার দেখা মেলেনি। এদিকে ব্রেক্সিটের রূপান্তরকালীন মেয়াদও শেষের পথে। এ অবস্থায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ওপর অধিকার প্রশ্ন।

যুক্তরাজ্য ও ইইউ উভয় পক্ষই চায় ব্রেক্সিটের পরও আন্তঃসীমান্ত মৎস্য আহরণ ও বাণিজ্য অব্যাহত থাকুক। সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের কাজে নিয়োজিত জাহাজগুলোর কার্যক্রম নিয়ে কোনো বিবাদ তৈরি হোক, তা-ও চায় না তারা। কিন্তু ঝামেলাটা বেধেছে কার হিস্যা কত হবে তা নিয়ে। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়েন

এ সমস্যার আশু কোনো সমাধানও দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টকে বলেন, ‘মৎস্যসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা এখনও জটিল পর্যায়ে রয়েছে। সত্যি বলতে কি, মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে যে আমরা কখনই এ জটিলতা দূর করতে পারব না।’

যুক্তরাজ্য যখন ইইউর সদস্য ছিল, তখন কমন ফিশারিজ পলিসির অধীনে দেশটি তাদের সমুদ্রসীমার কিছু অংশ জোটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে বাধ্য ছিল। আর এ পলিসির কারণে বহুদিন ধরে অন্যায্য বণ্টনের শিকার হয়ে আসছে বলে ব্রিটেনের অভিযোগ। এ কারণে নিজেদের সমুদ্রসীমায় অধিকার আরো সমুন্নত করতে চাইছে বরিস জনসন সরকার।

ব্রিটিশ উপকূল থেকে ১২ থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরবর্তী সমুদ্রসীমা এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ৬ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অংশ নিয়েও যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র মধ্যে দরকষাকষি চলছে। অঞ্চলটি ইইউর আওতাধীন না থাকলেও ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশের জাহাজ কয়েক শতাব্দী ধরে সেখানে চলাচলের সুযোগ পেয়ে আসছে।

সার্বিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা এই মৎস্য আহরণের অধিকারের প্রশ্নেই আটকে রয়েছে। যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদনে দশমিক ১ শতাংশ অবদান রয়েছে এ খাতের। এ কারণে খাতটিতে নিজেদের হিস্যায় ছাড় দিতে নারাজ দেশটির সরকার। আলোচনার এ জটিলতা না কাটলে শেষ পর্যন্ত চুক্তিবিহীন অবস্থাতেই ইইউ ছাড়তে হবে ব্রিটেনকে। আর এমনটি হলে চড়া মূল্য চুকাতে হবে দেশটিকে। ব্রিটিশ সরকারের নিজস্ব একটি গবেষণাই বলছে, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হলে ১৫ বছরে দেশটির অর্থনীতি অন্তত ২ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়