ফরহাদ বিন নূর: [২] গত শনিবার অ্যাডেলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্রা ৩৬ রানে। অস্ট্রেলিয়া এই টেস্টে জয় পেয়েছে আট উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের মুখে দাঁড়াতেই পারেনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটিং লাইন ভারত। কোনো ব্যাটসম্যানই ডাবল ফিগারে পৌছুতে পারেনি। গত ৭৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম এত কম রানে কোন দেশের টেস্ট ইনিংস গুটিয়ে গেল। ভরতের এই লজ্জাজনক হারের পরে কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার খেলার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। জানান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার মন্ত্রও। বিবিসি, আনন্দবাজার
[৩] মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। আর সেই সফর তাকে মানসিক ভাবে পরিণত করে দিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি।
[৪] সেই ১৯৯১-৯২ সফরে ক্রেগ ম্যাকডরমট, মার্ভ হিউজ, মাইক হুইটনিদের সামলে দুটো সেঞ্চুরিও করেছিলেন শচীন। রোববার ইউটিউব চ্যানেলে কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান বলেছেন, ১৯৮৭-৮৮ সালে আমি বলবয় ছিলাম। আর সেখান থেকে সোজা অস্ট্রেলিয়া সফরে। দারুণ সব বোলার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। যাদের দেখে আমি বড় হয়েছিলাম। জানতাম, আমাকে আউট করার জন্য ওরা সব কিছু করবে। আর সেই চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য আমি তৈরি ছিলাম।
[৫] সেই সফরে ভারত হারলেও সিডনি এবং পার্থে সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন। কী ছিল তার মন্ত্র? তিনি জানান, শুধু রক্ষণাত্মক ব্যাটিং নয়, অস্ট্রেলিয়ায় সফল হতে গেলে রান করার দিকেও নজর দিতে হবে।
[৬] বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান বলেন, সবাই মনে করে, অস্ট্রেলিয়ার পিচে অতিরিক্ত বাউন্স আর গতি আছে। মাথায় রাখতে হবে, ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলার জন্য ওই বাউন্সটা পেতে গেলে, বোলারকে বিশেষ একটা জায়গায় বল ফেলতে হবে। কাজটা সোজা নয়। ব্যাটসম্যান যদি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নামে...যদি শুধু রক্ষণাত্মক ব্যাটিং না করে রান করার কথা মাথায় রাখে, তা হলে অনেক সুযোগ থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :