শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৩১ সকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইমতিয়াজ মাহমুদ: সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেকটা নতজানু কেন?

ইমতিয়াজ মাহমুদ: দেখা যাচ্ছে যুবলীগের লোকেরাই বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভেঙেছে। এ ঘটনা যদি মিথ্যা হয় তাহলেই হয়তো একটু স্বস্তি পেতাম কিন্তু যে শঙ্কাটা করছিলাম অনেকদিন ধরে সে শঙ্কাটা তো যাবে না। শঙ্কাটা কী? শঙ্কাটা হচ্ছে যে আমাদে স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ একসময় একটি ধর্মনিরপেক্ষ দল থাকলেও এখন সেটি দ্রুত একটি সাম্প্রদায়িক দলে পরিণত হচ্ছে। কেন এই শঙ্কা? কারণ খুবই সহজ। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে তার অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরছে নাÑ কথা কিংবা কাজে না। শুনতে মন্দ শোনায়, কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর প্রতি আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেকটা নতজানু। উদাহরণ দিচ্ছি না, উদাহরণ আপনারা জানেন। আমার আওয়ামী লীগের বন্ধুরা সবসময়ই যে কথাটা বলে এসেছেন যে, যেটাকে নতজানু অবস্থা মনে হয় সেটা নাকি ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল মাত্র। তারা আমাকে আশ^স্ত করেন যে না, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রশ্নে অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে এখনো আপোসহীন। আমাকে যখন আওয়ামী লীগের কোনো বন্ধু এই কথাটা বলেন, আমি কৌতুহলে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি। বুঝতে চেষ্টা করি তারা কি আসলেই এ কথাটা মনে প্রাণে বিশ^াস করেন? নাকি কেবল আমাকে শঙ্কামুক্ত করার জন্য এসব কথা বলেন? নাকি তারা নিজেদেরকেই নিজেরা এসব কথা বলে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করেন? দেখেন, বিষয়টা এতো জটিল কিছু নয়।

একটা দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যখন সাম্প্রদায়িক দল ও শক্তির প্রতি নতজানু হন বা মুখে ও আচরণে সাম্প্রদায়িক আচরণ করেন, তখন সেই দলের সকল সকল নেতা কর্মীদের প্রতি একটা সংকেত যায়। দলের শীর্ষ নেতারা যদি বলেন যে একটি ধর্মীয় দলিল অনুযায়ী দেশ চলবে, তখন দলের নেতা কর্মীরা সেইটাকেই দলের নীতি হিসাবে ধরে নেন। দলের শীর্ষ নেতারা যখন হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সম্মান দেখিয়ে তাদের সকল দাবি মেনে নেন বা তাদেরকে মুরুব্বী বলে ঘোষণা দেন, তখন দলের সকল নেতাকর্মীরা সেইটাকেই দলের নীতি হিসাবে মেনে নেন। ফলাফল কি হয়? ফলাফল হয় যে আপনার দলের সকলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বন্ধু মনে করতে থাকে। আর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী যে ওইসব সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি একটু বেশিই ভক্তি গদগদ হবে এটা কি খুবই স্বাভাবিক নয়? এইটাই হয়েছে। আপনারা ভাস্কর্য প্রশ্নেও তো তাদের কথা শুনেছেন। হাই কোর্টের সামনের ভাস্কর্য প্রশ্নে ছাত্র ইউনিয়নের ছোট একটা মিছিলে বিশাল পুলিশ বাহিনী জল কামান, বন্দুক টিয়ার গ্যাস এসব নিয়ে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মনে আছে? তাহলে আপনাদের কর্মীরা,অন্তত কিছুসংখ্যক কর্মী, যে ভাস্কর্য জিনিসটা সরিয়ে ফেলাটাকে দলের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করে তাদেরকে আপনি দোষ দেবেন কী করে? যদি আসলেই ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে অটুট থাকেন, সেটা স্পষ্ট করে বলেন। কোথায় ও কাজে সেটার প্রতিফলন করুন। নীতিআদর্শ এসব জিনিস তো পেটের মধ্যে লুকিয়ে রাখার জিনিস না। ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পেটের মধ্যে লুকিয়ে রেখে মুখে ও কাজে যদি উল্টো কোথা বলেন, তাহলে আমরাও বা আপনাদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ দল কি করে বলব? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়