তৌহিদুর রহমান: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইরি-বোরো বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক হাওর অঞ্চলে কৃষকরা। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করছেন।
[৩] জেলার সরাইল, নবীনগর, নাসিরনগরসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আমন ফসল কাটার পর ইরি-বোরো ধানের মৌসুমের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। এছাড়াও অনেক কৃষক পরিসরে স্বল্প পরিসরের তাদের ভূমিতে কোঁদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে ইরি-বোরো ধানের বীজতলাও তৈরি করছেন।
[৪] দেখা যায় গোর্কণ, হরিপুর, বীরগাও, চুন্টা, পাকশিমুল, অরুয়াইল পানিশ্বরও কালিকচ্ছের কৃষকরা ভূমির আইল বেঁধে জমির আগাছা পরিষ্কার করা, কোদাল দিয়ে জমির উঁচু-নিচু জায়গাগুলো সমান করা, শুকনো জমিতে সেচ প্রদান করাসহ প্রভৃতি কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
[৫] উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে, দোকান পাটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বোরো-ইরি ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা এসব বীজ ক্রয় করার জন্য দোকানগুলোতে অত্যধিক পরিমাণে ভীড় জমাচ্ছেন।
[৬] নাসিরনগরের বীজ দোকানদার মুসলেম উদ্দিন ও সাহাবুদ্দিন জানান, “বোরো মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ধানের বীজগুলো প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও হাইব্রিড জাতের ধানের বীজগুলোও সংগ্রহ করছেন কৃষকরা।
[৭] কৃষক শাহজাজান ও কুদ্দুস মিয়া জানান, “আমন ধানগুলো সফলভাবে ঘরে তুলতে পেরেছি। এখন ইরি- বোরো বীজতলা তৈরি করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। আমনের তুলনায় বোরো ধানের ফলন অনেক বেশী হয়ে থাকে। আমরা আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতা পেলে আমরা এবারো সফল হতে পারবো এবং অনেক ফলন পাবো।
[৮] জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বীজতলা তৈরীসহ যাবতীয় সহযোগীতা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি