রবিউল আলম: আল্লামা শফী হুজুর তার জ্ঞানের ভাণ্ডার বিলিয়েছিলেন যাদের মধ্যে, তার কাছ থেকে তারা কতোটুকু নিতে পেরেছেন জানি না। তবে রাষ্ট্র ও সমাজকে একটি সেতু বন্ধনে রাখার জন্য। মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতির জন্য জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত লড়ে গেছেন তিনি। যাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও নেতৃত্বে আসীন করেছেন, তারাই তার জীবননাশের কারণ হতে পারে, এ এক অবিশ^াস্য ঘটনা! জাতির জনক জীবন দিয়েছেন বুক পেতে বুলেটের মাধ্যমে। শফী হুজুরকে জীবন দিতে হলো তারই ছাত্রদের হাতে নাজেহাল হয়ে। সত্য তদন্তে বেরিয়ে আসবে, কারা এর পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে। কারা শফী হুজুরকে মেরে লাভবান হতে চাইছে? প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনায় শফী হুজুরের চেয়ারে বসার জন্য ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
শফী হুজুরের উপর হামলা প্রকাশ্যে হয়েছে, তদন্ত করে হুকুমদাতাদের বের করতে হবে। সরকার আলোচনা করলে কি আর স্বীকারত্তি দেবেন গোপন হামলার। আওয়ামী লীগকে তারা রাজনীতি শিখাতে চায়। হত্যার রাজনীতি আওয়ামী লীগ শিখতে চায় না। আলোচনা কী করবেন? জাতির জনকের জন্য মিথ্যা কান্নার রোল, শফী হুজুরের চেয়ার, নাকি ভাস্কর্যের দাবি উঠিয়ে নেওয়ার দর-কষাকষি। আমরা আপনাদের কোনোটাই করার সুযোগ দেবো না। শেখ হাসিনার ধর্মীয় অর্জন থেকে কিছুটা নিতে পারেন ইচ্ছে করলে। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসা হত্যাকারীদের জন্য নয়, শেখ হাসিনা হত্যাকারীদের ঘৃণা করেন। শফী হুজুরের হত্যা বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। আপনার কেউ ইচ্ছে করলেই শফী হুজুর হতে পারবেন না, তার চেয়ারটাও পাবেন না। কাউয়া কখনো কোকিল হতে পারে না।
লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :