মনিরুল ইসলাম: [২] জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া শুত্রুবার মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশ সংবিধানের স্বাক্ষরদাতা মরহুম আবুল হোসেন (সাবেক এমপি) এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে আয়োজিত উন্মুক্ত মঞ্চ ( বিচারপতি সাহাবুদ্দীন পার্ক) গুলশান-২ ঢাকায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ একথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন ছিলেন আপাদমস্কতে একজন বড় অসাম্প্রদায়িক লোক ছিলেন। রাজনীতির উর্ধ্বে তাঁর এটা একটি বড় কোয়ালিটি ছিল। রাজনীতিবিদদের যে যে কথাই বলুক কাজে হয়ত আমরা একটু ভিন্নতা দেখতে পাই। কিন্তু আবুল হোসেন ভাই এর সঙ্গে মিশে যেটুকু দেখেছি বা উপলদ্ধি করতে পেরেছি তা হলো- তিনি যা বলতেন সেটা তিনি করতেন । তিনি যা বলতেন সেটা তিনি নিজে মানতেন । তিনি যে আপাদমস্তকে অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন সেটা আমার চেয়ে লালমনিরহাট বা কুড়িগ্রাম জেলার জনসাধারণ একবাক্যে তা স্বীকার করবেন।
[৪] তিনি বকেন, আজকের দিনে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবুল হোসেন ভাইয়ের মতো রাজনীতিবিদদের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। তার কারণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে তথাকথিত কিছু ব্যক্তি যারা ইসলামের মূল আদর্শে অনুপ্রাণিত নন তারা কিছুটা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে।
[৫] ডেপুটি স্পীকার বলেন, আমি নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি যদি আবুল হোসেন ভাই বেঁচে থাকতেন তাহলে লালমনিরহাট জেলা থেকে যে প্রতিবাদ হতো তার লিডিং বার্তায় থাকতেন আবুল হোসেন ভাই এবং তাঁর কণ্ঠস্বর প্রথমে এর বিরুদ্ধে বক্তব্য বের হতো। দেশের স্বার্থে আমাদের জাতির স্বার্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংস্কৃতির জন্য আজ আবুল হোসেন ভাই এর প্রয়োজন ছিল।
[৬] ডেপুটি স্পীকার আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই ফাদার অব দি ন্যাশন, হেড অব দি স্ট্যাট অথবা হেড অব দি গভার্ণমেন্ট তাদের ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি ইসলামিক দেশগুলোতেও ভাস্কর্য রয়েছে। আমরা অনেকেই অজ্ঞতার কারণে মূর্তি এবং ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্যটা জানিনা। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের মুখোশধারী যারা ইসলামের কথা বলেন তারা জানেন না। তারা কিভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে তার জন্য পায়তারা করছে। তাই আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
[৭] দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের , মোঃ আতাউর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিউও, সোনালী ব্যাংক লি:, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডাঃ দিলীপ কুমার ধর, মুখ্য আলোচক, মোঃ শফিউল আলম, সভাপতি, লালমনিরহাট জেলা সমিতি ঢাকা, মোঃ আহসান কামাল চৌধুরী সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা সমিতি, ঢাকা, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :