লিহান লিমা: [২] করোনা ভাইরাসের টিকার সরবরাহে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে ভারত। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব ঠেকাতে এটি ভারতের পাল্টা পদক্ষেপেরই একটি অংশ।
[৩] গত বছর ভারত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা টানাপোড়ন দেখা দেয়। ভারতের এই আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পূর্ব নিধারিত ভারত সফর বাতিল করেন। এরপর এই প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে কোনো শীর্ষস্থানীয় সম্মেলন হয়েছে। এখন প্রতিবেশী ঢাকার সঙ্গে দীর্ঘ সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে রাঙ্গিয়ে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লী।
[৪] এই বছর টানা দুইবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বাংলাদশে সফর করেছেন। দ্বিতীয় সফরটি করেছেন চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত উত্তেজনার সময় আগস্টে। চীন বাংলাদেশে ৪ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রতি দিয়েছে।
[৫] ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সম্মেলনে বাণিজ্য ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ছাড়াও ঢাকা দীর্ঘদিনের অবাস্তবায়িত তিস্তা চুক্তির বিষয়টি তুলতে পারে। ১৯৮০ সাল থেকে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও তার কোনো সমাধান হয় নি। গত সেপ্টেম্বরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই বলেছেন তারা তিস্তা নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘নয়াদিল্লীর সঙ্গে দশকব্যাপী কাছাকাছি সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তিস্তুা চুক্তির দীর্ঘ ব্যর্থতা ও ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এখন কোভিড-১৯ দুই দেশকে আবার এক করেছে।’
[৭] বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত নভেম্বরে ৩ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :