শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কালীগঞ্জে খাদ্য গুদামে এক মাসে আমন ধান সংগ্রহ মাত্র এক মেট্রিকটন

ফিরোজ আহম্মেদ: [২] কালীগঞ্জে ২০২০-২০২১ মৌসুমে গতিহীন হয়ে পড়েছে রোপা আমন সংগ্রহ। এ বছর মোট ৭৯১ জন কৃষকের তালিকা নিয়ে ২১-১১-২০২০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১ মেট্রিকট্রন ধান সংগৃহিত হয়েছে। সেটাও ছিলো উদ্বোধনের দিনে। কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বর্তমান বাজারে বেশি দামে ধান বিক্রি হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

[৩] কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে আমন ধান রোপনে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৮ হাজার ৫’শ ৭০ হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ঊর্দ্ধে।

[৪] খাদ্য গুদাম সূত্রে জানাগেছে, এ মৌসুমে উপজেলাটিতে ৭’শ ৯১ মেট্রিকটন ধান ও ১ হাজার ৬’শ মেট্রিক টন চাল সরকারীভাবে কিনে খাদ্য গুদামে সংগ্রহ করা হবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। যা সংগ্রহের মেয়াদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত। এ উপজেলাতে ২টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। একটি কালীগঞ্জ শহরে অন্যটি উপজেলার বারোবাজারে। আমন সংগ্রহ পরিপূর্ণ হয়ে গেলে সংগৃহীত ধানের ৬০% ধান রাখার কথা ছিলো কালীগঞ্জ শহরস্থ খাদ্য গুদামে। আর বাকি ৪০% বারোবাজারের খাদ্য গুদামে। অথচ উদ্বোধন দিন থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ১ মেট্রিকটন ধান নেয়া হয়েছে। আর বারোবাজারের খাদ্য গুদামে কোনো ধানই জমা হয়নি।

[৫] তালিকাভুক্ত কয়েকজন কৃষক জানান, সরকারীভাবে ধানের নির্ধারণ করে দেয়া দাম প্রতি মন ১ হাজার ৪০ টাকা কিন্ত বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১১’শ টাকায়। যার অর্থ প্রতি মন প্রায় ১০০ টাকা বেশি। তারপরও ধান দিয়ে টাকা নিতে হবে ব্যাংক থেকে। যা তাদের জন্য বেশ খানিকটা ঝামেলাপূর্ণ। সে কারণেই তারা খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছেন না।

[৬] সরজমিনে কালীগঞ্জের বিভিন্ন ধান হাটে গিয়ে দেখা যায়, ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ১ হাজার ৮০ টাকা থেকে ১১’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত।

[৭] কালীগঞ্জ হাটে ধান বিক্রি করতে আসা সিংদহ গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছিলেন। প্রায় ১’শ মন ধান হয়েছে। বাজারের ধানের দাম বেশি। ফলে সংসারের প্রয়োজনীয় ধান ঘরে রেখে বাকিটা হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন।

বলোরামপুর গ্রামের চাষি আব্দুর রশিদ জানান, ৩ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছিলেন। ফলনও হয়েছে যথেষ্ট ভালো। কিছু ধারদেনা পরিশোধে হাটে তার ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। বর্তমান বাজারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য কম ফলে এ বছর খাদ্য গুদামে ধান দেয়ার কথা ভাবেননি।

[৮] কালীগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ৭’শ ৯১ মেট্রিকটন ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও মাত্র একজনের কাছ থেকে ১ টন রোপা আমান ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া আমাদের এখানে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে তা সংগ্রহ করা হয়। প্রান্তিক কৃষকরা এখানে ধান নিয়ে আসেন। এরপর কর্মকর্তারা সেই ধান যাচাই বাছাই করার পরে সংগ্রহের উপযোগী মনে করলে সেই ধান ক্রয় করা হয় । উপযোগী না হলে ফেরত দেয়া হয়। ধান সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত মাত্র এক মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। দামের পার্থক্যের জন্য এমনটি হয়েছে।

[৯] অন্যদিকে চালের বাজারে ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা ছিলো ৫০ থেকে ৫২ টাকা এখন তা ৫৪ থেকে ৬০ টাকা দরে।

[১০] সাধারণ চাল ক্রেতারা মনে করছেন, এবার হয়তো চালের দাম বৃদ্ধি পাবে। যদি পর্যাপ্ত চাল সরকরি ঘরে না থাকে। কেননা অধিকাংশ ধানই চলে যাচ্ছে মিলার এবং ব্যাবসায়ীদের হাতে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়