শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ০২:৪৩ রাত
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ০২:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সন্তানদের মাদরাসায় পড়াতে ভিক্ষা করেন অসহায় মা

মিনহাজুল আবেদীন: [২] বুধবার মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি ও পাদদেশে আনন্দচিত্তে ছোটাছুটি করছে ছোট ছোট শিশুরা। করোনার ভীতি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বাবা মা ও স্বজনরা। তাদের আবদার মেটাতে জাতীয় পতাকা, বেলুনসহ বিভিন্ন পণ্য ও খাবার সামগ্রী কিনে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।

[৩] দুপুরে সরেজমিনে হঠাৎ চোখ পড়ে বেদির সামনে কালো বোরকা পরিহিত আট কিংবা নয় বছর বয়সী একটি মেয়ে সুললিত কণ্ঠে সুরা পাঠ করছে। পাশেই একই রঙয়ের বোরকা পরিহিত এক নারীকেও বসে থাকতে দেখা যায়। সুরা পাঠের পাশাপাশি শিশুটি ও ওই নারী দুহাত পেতে আছেন। বেড়াতে আসা লোকজনের মধ্যে দু-চারজনকে পেতে রাখা হাতে ৫ বা ১০ টাকা অনুদান দিতে দেখা যায়।

[৪] তাদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে ওই নারী তার নাম রুবি ও মেয়ের নাম লাবনি বলে জানান। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা রুবি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জননী। বছর দেড়েক আগে তার স্বামী মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের খরচ চালাতে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।

[৫] তবে কয়েক বাসায় দিনভর কাজ করে প্রতি মাসে যে টাকা বেতন পান, তা দিয়ে বাসাভাড়া ও খাবার খরচ চালাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। এছাড়া তার সন্তানরা স্থানীয় মসজিদে আরবি পড়ে। রুবির স্বপ্ন ছেলে- মেয়েদের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলবেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাদেরকে মাদরাসায় ভর্তি করাতে পারছেন না। ছোট ছেলে-মেয়েদের বাসায় একা রেখে বাইরে কাজে যেতে সাহস পান না, তাই গত কয়েকমাস ধরে তিনি ভিক্ষা করে সব খরচ মেটাচ্ছেন।

[৬] রুবি বলেন, কোনো দয়াশীল মানুষ যদি আমার সন্তানদের মাদরাসায় পড়ার খরচ চালানোর দায়িত্বটা নিতেন, তাহলে আমি চা ও পানের একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে ঘরের খরচ চালাতে পারতাম। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়