আব্দুল্লাহ মামুন: [২] মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান ও মা মালেকা বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়। মোস্তফা কামাল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন । ১৯৬৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন করেন তিনি।
[৩] ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দরুইলে পাকিস্তানি বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা যেন নিরাপদে আখাউড়ার দিকে যেতে পারেন, সে জন্য সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকে হতাহত হয়। একপর্যায়ে মোস্তফার অবস্থানের ওপর মেশিনগান ও মর্টারের গোলা বর্ষণ করতে থাকে তারা। মোস্তফারও এলএমজির গুলি শেষ হয়ে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন। পাকিস্তানি সৈনিকেরা ট্রেঞ্চে এসে তাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
[৪] তার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ প্রাঙ্গণের একটি কোণে ভোলা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লাইব্রেরি ও জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। এছাড়া মোস্তফা কামালের নামানুসারে গ্রামের নাম মৌটুপীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কামালনগর।