রাজু চৌধুরী : [২] বন্দরনগরী চট্টগ্রাম আর মহিউদ্দিন চৌধুরী একই সূত্রে গাঁথা , মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের ইতিহাস লেখা যাবে না। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা মহিউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন। টানা ১৭ বছর চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমৃত্যু চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৩] মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) তাঁর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হল। ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর জীবনাবসান হয় এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর।যুবলীগ নেতা সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাবু এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চট্টল বীরের প্রতিকৃতিতে।
[৪] এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, যুবনেতা সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাবু বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি কাজে আমি মহিউদ্দিন ভাইকে অনুসরণ করেছি। তিনি পরলোকগমন করলেও তাঁর আত্মা পুরো চট্টগ্রাম শহরে , লক্ষ লক্ষ মানুষেের হৃদয় জুড়ে বিরাজ করছে। আমরা মহিউদ্দিন ভাইয়ের পথ ধরেই চলব আজীবন।’উনার অভাব আমরা প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করি।
[৫] বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি দেওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে যেভাবে গর্জে ওঠার কথা ছিল, সেভাবে কিন্তু প্রতিবাদ হয়নি। মহিউদ্দিন ভাইয়ের মতো কেউ ভূমিকা রাখতে পারলে এটা আরও ব্যাপকতা পেত। এই প্রেক্ষাপটে মহিউদ্দিন ভাইয়ের অভাব আমাদের বেশি অনুভূত হয়েছে।’চট্টগ্রামের স্বার্থের বিষয় এলেই মহিউদ্দিন ভাইয়ের শূন্যতা-প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন বীর। বীরের কখনো মৃত্যু হয় না। আর মৃত্যু হয় না বলেই তিনি ছবি হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন এবং আজীবন থাকবেন।
[৬] এমইএস কলেজের ভিপি, কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যে মাসে তাঁর জন্ম, সে বিজয়ের মাসে এই মহান বীরের মৃত্যু এখনো চিরস্মরণীয় হয়ে আছে চট্টলবাসীর মনে। আমরা তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করি এবং চট্টলবীর এর মতোই অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই। এইসময় ওমরগণি এমইএস কলেজ এর অনেক সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :