ডেস্ক রিপোর্ট: গাছের শাখা-প্রশাখাজুড়ে শুধু মৌচাক। আর চাক ঘিরে মৌমাছিদের ওড়াউড়ি। শেরপুরের সীমান্তের দুটি গাছে বাঁধা হয়েছে ২শ' ২২টি চাক। এসব চাক দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন পর্যটক।
পরিবেশের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংকুচিত হচ্ছে জীব-বৈচিত্র। মানুষের খামখেয়ালিতে বহু পতঙ্গের মতো হারিয়ে যেতে বসেছে মৌমাছিও। এখন খুব একটা চোখে পড়ে না উড়ে চলা মৌমাছিদের ঝাঁক। তবে, ব্যতিক্রম শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্র।
শতবর্ষী বট গাছে ৭২টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। এছাড়া, শ্রীবরদীর কর্ণঝোড়ায় চাপাকাঁঠাল গাছে বসেছে ১৫০টি চাক। গাছের শাখা-প্রশাখাজুড়ে শুধু মৌচাক। চাক ঘিরে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছিদের ঝাক। আর তা দেখতে ভিড় দর্শনার্থীদের।
মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শেরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন,'এটাকে যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে, তাদেরকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে, মৌমাছি যেন আসে, আমরা সবাইকে নিয়ে এটা রক্ষার চেষ্টা করবো।'
প্রতি বছর শীত এলেই এই দুই গাছে বাসা বাঁধে মৌমাছিদের দল। তবে এবারের মত এতগুলো মৌচাক আগে দেখেননি স্থানীয়রা। ডিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :