বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] দেশে ঐতিহ্যগতভাবইে শীত মৌসুমে রাজনৈতিক আন্দোলন জোরেশোরে হয়। সরকার দলের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো জনসম্পৃক্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামেন।
[৩] এবার অক্টোবরের শুরুতে বামদলগুলো পাটকল বেসরকারিকরণ ও ধর্ষনবিরোধী ইস্যু নিয়ে মাঠে নামে। এসময় বিএনপি বিবৃতিতে নিজেদের আটকে রাখে।
[৪] এরপরপরই কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ফ্রান্স বিরোধী কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রকাশ ঘটায়। এই ইস্যু শেষ হতে না হতেই তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য দিয়ে মাঠে নামে ও সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানায়।
[৫] প্রথম দিকে সরকার বিষয়টি নিয়ে উদাসীন থাকলেও জাসদ ও ওয়ার্কাস পার্টি সরকারের এই অবস্থানের সমালোচনা করে। জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেন, সরকারের আস্কারায় এই গোষ্ঠীর উত্থান হচ্ছে।
[৬] বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, জনগণের মুল ইস্যুকে আড়াল করতে সরকার প্লট সাজিয়ে নন ইস্যুকে ইস্যু বানাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কোন রাজনীতি জনগণ গ্রহণ করবে, তা জনগণ ঠিক করবে। এর মানদণ্ড হচ্ছে অবাধ, শুষ্ঠু নির্বাচন। বিএনপি মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।
[৭] বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করা হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় এই দলগুলোর উৎপত্তি। এদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। মৌসুম শেষ হলেই তারা নানা সুবিধা নিয়ে কেটে পড়বে। সরকারের প্রশ্রয়ে তারা ভাস্কর্যসহ নানা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব