আরিফ রহমান: প্রতি স্প্যান নিয়ে যেভাবে নিউজ হয়েছে, সেটা নিয়ে মজা করছিÑ এটা সত্যি। কিন্তু এই প্রাউড মোমেন্ট নিয়ে আমিও গর্ব করি। খুলনায় যখন চাকরি করতাম তখন একই সঙ্গে ঢাকায় মাস্টার্স করার সুবাদে শেষ কয়টা মাস আমাকে প্রতি সাপ্তাহে একবার খুলনা থেকে ঢাকা আসতে হয়েছে একবার ঢাকা থেকে খুলনা যেতে হয়েছে। হু হু বাতাসে টুঙ্গিপাড়াএক্সপ্রেসে লঞ্চ পারাপারের সময় আমি মানুষজনকে বাচ্চাদের মতো করে কাঁদতে দেখেছি এই সেতুর আবেগে। সেই আবেগে রাজনীতি ছিল না। সেতুর আশেপাশে আসলেই ধনী-গরিব নির্বিশেষে মানুষকে ছবি তুলতে দেখেছি, দেখেছি আপনজনদের ভিডিও কল করে সেতু দেখাতে। এরপর দীর্ঘসময় মানুষজনের মধ্যে আলাপ কেবল পদ্মা সেতু নিয়ে। আমি তো সমালোচক। কিন্তু আমাদের এক বড়ভাই ছিলেন যিনি এই প্রাউড মোমেন্ট নিয়ে খুব গর্ব করতেন। হয়তো ফোন দিয়ে আমাকে ঝারি দিতেন। বলতেন ‘আরিফ এটা নিয়ে তো খুব মজা করতেন।
আমরা কিন্তু করে দেখিয়ে দিয়েছি।‘র্কাটুনিস্ট কিশোরের কথা বলছি। সাত মাস ধরে কারাগারে পঁচতেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। সরকারের কঠোর সমালোচনা করতেন। আবার মন্দের ভালো আওয়ামী লীগ বলে আস্থা রাখতেন। জেলে খুলনার ছেলে কিশোরদার কাছে কি পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসার খবরটা গেছে? প্রচণ্ড আবেগি এই মানুষটা কি আজও আবেগতাড়িত হয়েছেন? নাকি এই রাষ্ট্র,এই সরকার তার আবেগটুকু কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে? পদ্মা সেতু তো হয়ে গেলো এবার আমার কিশোরদাকে মুক্ত করে দেন।
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :