জাকারিয়া জাহিদ: [২] কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলে বিয়ের প্রলোভনে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আবাসিক হোটেল সোনার বাংলায় ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় রবিবার (১৩ ডিসেম্বর ) ওই নারী বাদী হয়ে দুই জনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মহিপুর থানা পুলিশ হোটেল ম্যানেজার ও ধর্ষণে সহযোগী শামিমকে (২০) গ্রেফতার করে দুপুরে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে । মামলার প্রধান আসামি আল আমিন (২২) পলাতক রয়েছে।
[৩] মামলা সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ সাত মাস ধরে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে আল আমিন (২২) নামের ওই যুবক। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার যুবতীকে কুয়াকাটা সোনার বাংলা হোটেলের ১০৪ নস্বর কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে কক্ষের বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় আলআমিন। পরে নির্যাতিতা ওই নারী তার পরিবারের কাছে ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে।
[৪] নির্যাতিতা নারীর পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানাগেছে, নির্যাতিতা নারী এবং ধর্ষক আল আমিন ওই আবাসিক হেটেলে রুম ভাড়া নেওয়ার কোন তথ্য হোটেল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত না করায় তাকেও ধর্ষন মামলার সহকারী হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছে ।
[৫] মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণে সহযোগিতাকারী শামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তরি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :