ডেস্ক রিপোর্ট: মাথাব্যথাকে এখন সাধারণ রোগের কাতারেই আমরা ধরে থাকি। তবে এটি অনেক জটিল রোগের আভাসও কিন্তু দেয়। তাই হেলাফেলা না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে। শারীরিক অনেক কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে।
সাইনোসাইটিস, সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, ম্যাস্টয়ডাইটিস, গ্লুকোমা, স্ট্রোক, মাথায় আঘাতজনিত কারণে বা মস্তিস্কের টিউমারের জন্য মাথাব্যথা হওয়া, পোস্ট কনকাশন সিন্ড্রোম, মস্তিষ্ক আবরণীতে রক্তক্ষরণ প্রভৃতি হলো মাথাব্যথার বিভিন্ন ধরনের সেকেন্ডারি কারণ।
মাথাব্যথা প্রতিরোধ এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তি কী ধরনের মাথাব্যথায় ভুগছেন তা জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন ধরনের মাথাব্যথায় কী করবেন-
চোখের সমস্যাজনিত মাথাব্যথা
চোখের বিভিন্ন রোগের কারণে, যেমন- গ্লুকোমা, কর্নিয়া কিংবা আইরিশের প্রদাহ, রেট্রোবালবার নিউরাইটিস ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মাথাব্যথা হতে পারে। আবার দীর্ঘক্ষণ কোনো সূক্ষ্ম কাজ করলে, অনেকক্ষণ ধরে পড়াশোনা বা সেলাই করলে, টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলেও মাথাব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে কপালের দু’দিকে বা মাথার পেছনে হয়ে থাকে।
সাইনোসাইটিস ও অ্যালার্জিজনিত মাথাব্যথা
এক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে অথবা গামলায় গরম পানি নিয়ে নাক দিয়ে বাষ্প টেনে নিলেও বেশ আরাম পাওয়া যায়। খুব বেশি মাথাব্যথা করলে এক টুকরো কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কপাল, চোখের ওপর বা নাকের দুই পাশে সেঁক দিলে সাইনাসের সমস্যা দূর হয়।
রিবাউন্ড মাথাব্যথা
অনেক দিন ধরে কেউ মাথাব্যথার ওষুধ খেলে তার রিবাউন্ড হেডেক হতে পারে। রিবাউন্ড হেডেক প্রতিরোধ করতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। যেসব ওষুধ সেবনে মাথাব্যথা হয়- সেগুলো না খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। মানসিক চাপ ও ধূমপান পরিহার করার পাশাপশি স্থূলতা প্রতিরোধেও সজাগ থাকতে হবে।
উচ্চরক্তচাপজনিত মাথাব্যথা
উচ্চরক্তচাপজনিত মাথাব্যথা সাধারণত মাথার দুইপাশেই শুরু হয় এবং কপালের সামনে একটি দপদপে অনুভূতি সৃষ্টি হয় ও মাথা ঝিমঝিম করে। এক্ষেত্রে তেমন কোনো ঘরোয়া উপায় কাজে লাগে না। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে গেলে এ ধরনের মাথাব্যথাও প্রশমিত হয়ে যায়। ডেইলি বাংলাদেশ