শরীফ শাওন: [২] করোনাভাইরাস মহামারিতে ছাঁটাই ও মজুরি কর্তনের শিকার গার্মেন্ট শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ১১ কোটি ৩০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের নতুন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় গার্মেন্ট, চামড়া ও জুতা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রাথমিকভাবে তিন মাস ৩ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার ইইউ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৩] শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে ১৭ ডিসেম্বর কিছু শ্রমিকের মধ্যে এ সহায়তা প্রদাণ করা হবে। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত যারা চাকরি করেছেন এবং করোনার কারণে কারখানা লেঅফ, বন্ধ বা শারীরিক অসুস্থতা এবং দুর্ঘটনায় চাকরি হারিয়েছেন তারা এ সহায়তা পাবেন।
[৪] কমিটির এক সদস্য জানান, প্রথম ধাপে সহায়তা প্রদানের তারিখ ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হলেও শ্রমিকের তালিকা তৈরি করতে না পারায় তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়। ইইউ’র অতীত সহায়তার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, পদক্ষেপটি শর্তের বেড়াজালেই আবদ্ধ। শর্তে, বেকার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের পেরোল, ভোটার আইডি ও অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। যা সংগ্রহ করে তালিকা তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। এছাড়াও ইইউ’র কর্মরতাদের বেতন প্রদাণেই অধিকাংশ অর্থ ব্যায় হয়। এ পর্যন্ত তিনবার তাদের কর্মী বদল করা হয়েছে।
[৫] বিজিএমইএ সহ সভাপতি এম এ রহিম বলেন, কতজন শ্রমিক সহায়তা পাবে, তালিকা এখনও তৈরি হয়নি। কার্যক্রমের সফলতার বিষয়ে এখনো বলা যাচ্ছে না।