শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৯ সকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ২০ হাজার শ্রমিক-প্রকৌশলীর শ্রমের ফসল পদ্মা সেতু

তাপসী রাবেয়া:[২]খরস্রোতা পদ্মায় দৃশ্যমান সেতু আর এই স্থাপনা নির্মাণের পেছনেও রয়েছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞের গল্প। জার্মানি থেকে হ্যামার, লুক্সেমবার্গ থেকে রেলের স্ট্রিংগার, চীন থেকে ট্রাস, অস্ট্রেলিয়া থেকে পরামর্শক; এমনভাবে বহুদেশ থেকে প্রকৌশলী ও প্রকৌশল যন্ত্রপাতি এসেছে পদ্মায়। ২০ হাজার শ্রমিক-প্রকৌশলীর টুকরো টুকরো মেধা ও শ্রমে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মাসেতু। বাংলাদেশ এবং চীনের ৭০০ মেধাবী প্রকৌশলী সরাসরি জড়িত ছিলেন এই নির্মাণ কাজে। দিনে পদ্মার দুই পাড়ে কাজ করেছেন ১২ থেকে ১৩ হাজার শ্রমিক।

[৩] সেতু প্রকল্পের একজন বিশেষজ্ঞ জানান, পদ্মাসেতুতে বিদেশিদের সাথে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররাও কাজ করেছেন। সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশি ঠিকাদাররা করেছেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানেও বেশিরভাগ বাংলাদেশি প্রকৌশলী কাজ করেছেন।

[৪]তিনি আরও জানান, পদ্মাসেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং। তাদের প্রধান কার্যালয় চীনের উহানে। সেখানকার এক হাজারের বেশি লোক পদ্মাসেতুর কাজে নিয়োজিত। সেখানের একটি কারখানায় স্প্যানের ছোট ছোট টুকরোগুলো প্রস্তুুত হয়ে জাহাজে বাংলাদেশে এসেছে। এছাড়াও নদী শাসন কাজ করেছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন।

[৫] সেতুর পাইল ড্রাইভের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিশালী হ্যামার। এতো শক্তিশালী হ্যামার শুধু জার্মানিরই আছে। এসব ড্রাইভিং হ্যামার বা কন্ট্রোল ইউনিট তারা বিক্রি করে না। এমনকি, এগুলো কেউ কিনে এনে পরিচালনা করার সাহসও পায় না। পাইলগুলো ড্রাইভ করার জন্য ১৪ জার্মান নাগরিক প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে প্রকল্প এলাকায় ছিলেন। হ্যামারগুলো তৈরি হয় জার্মানির বিখ্যাত শহর মিউনিখে। জার্মান ব্র্যান্ড এ হ্যামারগুলোর নাম মেংক। ২৯৮ টি পাইল ড্রাইভ করার জন্য তিনটি হ্যামার আনা হয় জার্মানি থেকে। যাদের ক্ষমতা ছিল যথাক্রমে ১৯০০, ২৪০০ ও ৩৫০০ কিলোজুল। তিনটি হ্যামারের মধ্যে দুটি হ্যামারই মূল সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর জার্মানি ফিরে গেছে। ২৪০০ কিলোজুল হ্যামারটি বিদ্যুৎলাইন পাইল ড্রাইভিং এর কাজে রয়ে গেছে।সারাবাংলা, বনিকবার্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়