ইমরুল শাহেদ: ছায়াবাজি ছবির নায়িকা মডেল ও অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী যে ছবিটি ছেড়ে দিয়েছেন সেটা অবহিত নন নির্মাতারা। তারা খবরটি শুনেছেন গণমাধ্যমের সাহায্যে। গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে শশী অভিযোগ করেন, ছবিটির নির্মাতারা তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রথমে আমাকে জানানো হয় এটি একটি নাটক। পরে জানানো হয় ওয়েব কন্টেন্ট। গল্পটি পছন্দ হওয়ায় নাটক থেকে ওয়েব হওয়ার পরেও কাজ করতে রাজি হই। কিন্তু কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং করার পর মনে হলো ফিল্ম হচ্ছে। আমার ফিল্মে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই বিষয়টি বুঝতে পারি।
নাটকের একটি চরিত্র আমি ফিল্মে দেখতে চাই না বলেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ছবিটির পরিচালক সোলায়মান জুয়েল বলেন, ‘শশীর এসব অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিলেন সেগুলো অনেক পরিশ্রম করে রক্ষা করা হয়েছে। শর্তে তিনি বলেছেন মৌসুমী হামিদের নাম ছায়া থাকতে পারবে না। আমরা সেটা বদল করে মায়া করেছি। আমরা তাকে প্রথমে ওয়েব ফিল্মের কথা বললেও পরে তাকে ফিল্মের কথা বলা হয়েছে। সেটাতে তিনি একমত হয়ে পারিশ্রমিকও নির্ধারণ করেন। আমরা তাতেও রাজী হয়েছি।
এরপর তিনি শর্ত দেন শুটিংয়ের প্রথম দিনে তাকে কিছু পারিশ্রমিক আগাম দিয়ে একটি চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নিতে। সে অনুসারে তিনি শুটিংও করেছেন। কিন্তু সমস্যা হয়েছে প্রথম দিনের ব্যস্ততার কারণে আমরা চুক্তিপত্রটা সই করাতে পারিনি। সেটা কোনো সমস্যা নয়। চুক্তিপত্র সই যে কোনো সময়েই হতে পারত। শুটিং শেষ করে তিনি আমার কাছ থেকে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছেন। এখানে সমস্যা কোথায় হলো আমরা বুঝতে পারছি না।’
সোলায়মান জুয়েল বলেন, ‘গল্পে মৌসুমী হামিদ আসেন ছায়া হয়ে। তাও সেটা শশীর কল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে। গল্পে ছায়া মারাও যায়। সেখানে শশীই প্রধান নায়িকা।’ পরিচালক বলেন, ‘শশী কাজ করতে না চাইলে তাকে আমরা চাপ প্রয়োগ করব না। তিনি নাটক বা ওয়েব যাই বলেন না কেন তার জন্য আগাম টাকা নিয়েছেন। সে টাকা আমাকে ফেরত দিতে হবে। প্রথম দিনের শুটিংটা আমি তাকে কেন্দ্র করে করেছি। তিনি শুটিং না করতে চাইলে আমি অন্য কাজ করতাম। আমার সেই দিনটিকে তো আর তিনি ফেরত দিতে পারবেন না। তাকে শুটিংয়ের পুরো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :