কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি’র সাথে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ কথা জানান।
[৩] মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে গত তিন বছরেও রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি।
[৪] রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারে যথাযথ পরিবেশ তৈরি এবং প্রত্যাবাসনের মাধ্যেমে এ সমস্যার টেকসই সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।
[৫] রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, কক্সবাজারের সীমিত জায়াগায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান, জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তা, স্থানীয় আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত অবস্থার চরম বিপর্যয় এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে।
[৬] বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে রোহিঙ্গাদের আরও উন্নত জীবনমান, জীবিকা ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের নিজ ইচ্ছায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
[৭] তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সন্তোষ প্রকাশের বিষয়টির প্রতিও হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
[৮] জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এ সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তিনি সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :