ইসমাঈল ইমু : [২] সোনালি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম সুমন নামে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একটি ধর্ষণ মামলা। পরবর্তী পিবিআইর তদন্ত শেষে আদালতে ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যে প্রমাণিত হলে সুমনকে অব্যাহতি দেয়।
[৩] দ্বিতীয় দফায় এই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানার দায়ের করা হয় আরেকটি নন এফআইর (হুমকি প্রদান) মামলা। বর্তমানে এ মামলাটি ঢাকার একটি নিম্ম আদালতে শুনানির অপেক্ষায়।
[৪] জহিরুল ইসলাম সুমন জানান, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সহকারী কর কমিশনার ফারহানা হুসাইন স্বাক্ষরিত একটি চেক যার মূল্যমান ৩১ হাজার ৯৬ টাকা। ওই টাকা উত্তোলনের জন্য চেকের বাহক রুহুল আমীন ওই চেকের আগে এক সংখ্যা বসিয়ে তা একলাখ একত্রিশ হাজার করে জমা দেন। অথচ কর কমশিনারের একাউন্টে ওই সমপরিমান টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা সুমনের সন্দেহ হয়। তিনি ফারহানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সুমনকে চেকের সমপরমিান টাকা দিতে না করেন। এবং তাকে তার জিম্মায় রাখতে বলেন।
[৫] গতবছর ১৯ মে কর কমশিন কার্যালয় থেকে চেক জালিয়াতির ঘটনাটি ব্যাখা দিতে বললে ২২ মে করকমিশনে হাজির হয়ে তার বক্তব্য দিয়ে আসেন। এর আগে ২১ মে তায়েফা সুলতানা খিলগাঁও থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৯ জুলাই নিম্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। ২৭ দিন কারাবাস শেষে গত বছরের ৫ আগষ্ট ঢাকার মহানগর দায়েরা জজ জনাব ইমরুল কায়েস তার জামিন মঞ্জুর করেন।
[৬] এরপর সুমনের আবেদনের ফলে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত শেষে পিবিআই সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নারী নির্যাতিন মামলাটি মিথ্যে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার মামলা থেকে সুমকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :