লিহান লিমা: [২] বিশ্বের সর্বোচ্চ পবর্তশৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা নিয়ে এতদিন চীন ও নেপালের মধ্যে বিরোধ ছিলো। যৌথ জরিপের পর মঙ্গলবার দুই দেশ যৌথ ঘোষণায় জানিয়েছে, মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯ হাজার ৩১ ফুট বা ৮ হাজার ৮৪৮.৮৬ মিটার । যা নেপাল
সরকারের পূর্ব স্বীকৃত এভারেস্টের উচ্চতা থেকে ২ ফুট বা .৮৬ মিটার বেশি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
[৩] ২০১৫ সালের এই অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, ভূমিকম্পের কারণে এভারেস্টের উচ্চতায় পরিবর্তন আসতে পারে। ২০১৮ সালে নেপালের জরিপ বিভাগ এভারেস্টের উচ্চতা মাপার ঘোষণা দেয়। ২০১৯ সালে নেপাল সফরে এসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, দুই দেশ যৌথভাবে জরিপ করবে। জরিপে জিপিএস, গ্রাউন্ট পেনসেটিং রাডার ও চীনের বেইদু স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
[৪] সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে মার্কিন পর্বতারোহী ব্র্যাডফোর্ড ওয়াশবার্ন এভারেস্টের উচ্চতা মাপতে সর্বপ্রথম জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। তার দল দাবি করে, এভারেস্টের উচ্চতা ২৯ হাজার ৩৫ ফুট।
[৫] ১৯৫৪ সালে ‘সার্ভে অব ইন্ডিয়া’র জরিপে থিওডোলাইট (নির্ভুল অপটিক্যাল যন্ত্র) প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানানো হয়, এভারেস্টের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯ হাজার ২৮ ফিট (৮ হাজার ৮৪৮ মিটার)। এই উচ্চতাকেই নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানচিত্র প্রকাশকরাও স্বীকৃতি দিয়েছিলো। অন্যদিকে চীন দাবি করতো, এভারেস্টের উচ্চতা ২৯ হাজার ১৭ ফুট।
[৬] এর আগে সর্বপ্রথম ১৮৫৬ সালে গণিতবিদ রাধানাথ শিকদার ‘গ্রেট ট্রাইগনোমোট্রিকাল সার্ভে’র সময় আবিষ্কার করেন, এভারেস্টই বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশকে বৈজ্ঞানিক নির্ভুলতার সঙ্গে পরিমাপ করতে ওই জরিপ করা হয়েছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :