আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] সম্প্রতি বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের স্বাক্ষাৎকারের বিষয়ে এসবই উঠে এসেছে দেশটির গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক বিশেষ প্রতিবেদনে। তারা বলছে, সম্প্রতি ভারতের পাঠানো বিশেষ দূতের সঙ্গে দেখা করেননি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাকিস্তান ভেবেছিলো, এটি তাদের জন্য বড় কূটনৈতিক সুযোগ হতে পারে। পাকিস্তানি অর্থনৈতিক নিস্পেষণে ছিবড়ে হয়ে যাওয়া যে দেশটি নিজেদের প্রয়োজনে স্বাধীন হয়েছিলো, তারা আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। ইসলামাবাদ তাই চায় ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তবে শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব তৈরি হলেও, সেটি হবে ঢাকার একান্ত নিজস্ব বিষয়।
[৪] পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও সাংবাদিকরা বলছেন, তাদের দেশ বাঙালির রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে একটি সিন্ধি জমিদার পরিবারের স্বার্থ রক্ষা করতে যে গণহত্যা চালিয়েছিলো, সেটি বাংলাদেশের মানুষ সহজে ভুলে যাবে না। এজন্য যা কিছু করণীয় তা পাকিস্তানেরই।
[৫] তবে পাকিস্তান চেষ্টা করে চলেছে সম্পর্কোন্নয়নের। বাংলাদেশের পাকিস্তান বিরোধীতা ভারতকে ঘিরে আবর্তিত হয়, পাকিস্তানের কিছু মহলে এই ধারনা প্রচলিত আছে। কিন্তু তা সত্য নয়। বাংলাদেশের অবস্থান এক্ষেত্রে স্পষ্ট। পাকিস্তানকে স্বীকার করে নিতে হবে, তারা এই ভূখ-ে গণহত্যা চালিয়েছিলো, নিশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এজন্য। ৭১ এর আগে পাকিস্তানের সমস্ত সম্পদের সুসম বণ্টন করতে হবে, দিতে হবে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ। আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে পাকিস্তান বাংলাদেশকে রিজার্ভের সোনা দেয়নি, সেটি সুদে আসলে ফিরিয়ে দিতে হবে। এখন একটি প্রশ্নই থেকে যায়। পাকিস্তান কি সম্পর্কোন্নয়নে আসলেই আন্তরিক? সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :