রবিউল আলম: বাংলাদেশকে দেখছি জন্মলগ্ন থেকে। যারা আমার মতো করে দেখেছেন, তাদের বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। আমি আমার চোখকে বিশ^াস করাতে পারছি না। এই বাংলাদেশ আমার কল্পনায়ও আসেনি। যারা দেখতে পান না, তাদের চোখে আঙুল দিয়েও দেখানো যাবে না, মেট্টোরেল চলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুল্লি ও জেনারেটর এসে গেছে, মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি গ্যাস- আর কী চাই একটা দেশের জন্য। আর কী আশা করে জনগণ, একটি সরকারের কাছে? তারপরেও কর্ণফুলী টানেল, পায়রাবন্দর, যমুনায় রেলসেতু, চট্টোগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে এক্সপ্রেস রোড। চার লাইন, ছয় লাইন রোড অগুনিত। আমি আর উন্নয়নের তালিকা দিতে পারছি না।
মূর্তি আর ভাস্কর্যের রাজনীতি চলছে। রোহিঙ্গা নিয়ে রাজনীতি ও মাদকের মরণ ছোবল থেকে বাঁচার ও বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছি। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ভোঁতা হয়ে আসছে। এখন আর বিশ^ব্যাংকের টাকার প্রয়োজন হয় না বাংলাদেশের। বিশ^ ব্যাংকের প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের। দালালদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে। টাকা চাই টাকা, রাস্তার ফেরিওয়ালাদের মতো গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতু কতো কিছুই না শেখালো, শিক্ষা দিলো শেখ হাসিনা বিশ^কে, বিশ^ব্যাংক ও বিশ^ব্যাংকের দালালদের কে। কী বলবেন? এবার হয়তো আপনাদের পেয়ে বসবে অপরাজনীতি ও অপঅর্থনীতির রোগ।
লেখক: মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :