মোতাহার খান: [২] গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর একটি ঘটনায় গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি ঘটনায় সোমবার শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
[৩] ভিকটিমের ভাষ্য ও শ্রীপুর থানা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে তৌহিদুল হাসান রাকিব (২৫) প্রতিবেশী ভিকটিমের (১৮) সাথে গত চার বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই সম্পর্কের সুযোগে তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে অভিযুক্ত রাকিবকে বিয়ের দাবী জানালে তালবাহানা শুরু করে।
[৪] গত ১৮ আগস্ট পাশর্^বর্তী এমসি বাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযুক্ত তৌহিদুল হাসান রাকিব গোপনে ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। ৫ ডিসেম্বর শনিবার আবারও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে ভিকটিম তা প্রত্যাখান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত রাকিব তাদের শারিরীক সম্পর্কের ভিডিওচিত্র ধারনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের হুমকি দেয়। পরে ওইদিন’ই সকালে রাকিব ওই ভিডিওচিত্র তার ব্যাক্তিগত আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
[৫] ভাংনাহাটী এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা প্রকাশ করা হলে ১৫ জন লোক নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষনের হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৬] এ ঘটনায় সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভাংনাহাটী গ্রামের রফিকের ছেলে সেলিম (৩০), মৃত কলিম উদ্দিন ড্রাইভারের স্ত্রী কাজল রেখা (৪৫) ও তার ছেলে পরান মিয়াকে (২৬) অভিযুক্ত করে গৃহবধূ শ্রীপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
[৭] মামলার বিবরণে জানা গেছে, অভিযুক্তদের সাথে প্রায় আড়াইযুগ আগে থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। অভিযুক্তরা ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন সময় খুন জখমসহ নানা ধরণের ভয়-ভীীত ও হুমকি প্রদান করে আসছে। ৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী ফারুকের ঘরে বসে অভিযুক্ত সেলিম ভিকটিমকে কথা বলার জন্য খবর পাঠায়। ভিকটিম প্রতিবেশীর ঘরে গেলে অভিযুক্ত সেলিম তাকে গলা চেপে ছোরা দিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনা প্রকাশ করলে পরবর্তীতে কমপক্ষে ১৫ জন লোক নিয়ে গণধর্ষন ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
[৮] শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, উভয় ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। থানার দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :