নূর মোহাম্মদ : [২] সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ, এস, এম আব্দুল মোবিনের বেঞ্চ আপিল মঞ্জুর করে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত তিন আাসামিকে খালাস দেন। তিন আসামি হলেন- আব্দুল খালেক, আব্দুশ শুকুর এবং বাহাদূর।
[৩] আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন মো. আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী।
[৪] রায় ঘোষণার পর আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই এবং মামলা দায়ের ২০১৩ সালের ৬ জুলাই কক্সবাজারের হাজী হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র হৃদয় (৬) স্কুল ছুটি শেষে বাসায় ফেরার সময় অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা হৃদয়ের বাবার কাছে ফোনের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
[৫] মুক্তিপনের টাকা নিতে আসা জসীম হৃদয়ের বাবা ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের কাছে ধরা পড়ে। সে জানায় তাকে বার্মাইয়া ইয়াছিন, মোঃ আলম, মোঃ আলী মুন্না ও মোঃ মাসুম মুক্তিপণের টাকা গ্রহন করতে পাঠিয়েছে। পরদিন সকাল ৭ টার সময় হোটেল ওশান প্যারাডাইসের পিছনে সাগর সৈকতে হৃদয়ের লাশ পাওয়া যায়।
[৬] ৬ জুলাই ২০১৪ সালে হৃদয়ের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে আসামি জসিমসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামির তালিকায় হৃদয়ের আপন চাচার নামও ছিল।
[৭] তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে জসীম ছাড়া এজাহারে উল্লেখিত অন্য আসামিদের নাম বাদ দিয়ে ট্রলার চালক আব্দুল খালেক, রিকশাচালক বাহাদুর ও শুকুর মিয়ার নাম উল্লেখ করেন। আব্দুল খালেক ও শুকুর মিয়া মিয়ানমারের নাগরিক। আসামি আব্দুল খালেক ও বাহাদুর মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
[৮] সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৭ জুন কক্সবাজারের দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার রিকশাচালক জসীমকে মুক্তি দেন এবং বাকি তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। আসামিরা আপিল করলে হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
আপনার মতামত লিখুন :