পলাশ রহমান: আমরা পার্থক্য দেখতে চাই। যারা মূর্তির বিপক্ষে তাদের কাছে ধর্মের একটা যুক্তি আছে, কিন্তু যা পক্ষে তাদের কাছে কী আছে। কেন বঙ্গবন্ধুর মূর্তি বানাতে হবে। কী লাভ হবে, না বানালে কী ক্ষতি হবে। পক্ষের মানুষরা কেন ধর্ম দিয়েই বিপক্ষদের মোকাবেলা করতে চাচ্ছে। তাদের ঘট কী এতোই ফাঁকা? আজ ইনু সাহেব বলেছেন, ভাস্কর্যবিরোধীরা কোরআন বিরোধী। এর আগে দেখেছি, মৌলভী ভাড়া করে মূর্তি বৈধ করার চেষ্টা করতে গিয়ে সব মাখিয়ে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তানে কে আছে, বিএনপির অফিসে কে আছে, এসব অবান্তর অস্ত্র কেন ব্যবহার করছেন। তাহলে কী আপনারা বুঝে গেছেন, ইতিহাস সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই ডিজিটাল যুগে মূর্তি নির্মাণ করার দরকার হয় না। এসব কাজে বিজ্ঞান এখন অনেক এগিয়ে। তাছাড়া মূর্তি বাংলাদেশি সংস্কৃতির কোনো অংশ নয় বিধায় এদিক থেকেও সুবিধা করতে পারছেন না। খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হক বেশ হুংকার দিয়েছিলেন। হয় তো বেগতিক বুঝে আগে ভাগে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, সরকারের সাথে তিনি বিরোধ সৃষ্টি করতে চান না। আজ ইসলামী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, সরকারের সাথে তারা যুদ্ধে যেতে চান না।
কিন্তু কদিন আগেই তার দলের নায়েবে আমির এবং ছোট ভাই সৈয়দ ফয়জুল করিম সমাবেশ ডেকে সরকারকে প্রথম সিগন্যাল দিয়েছিলেন। বাজারে একটা কথা বেশ উড়েছে, সরকার দেশের অন্যান্য সমস্যা আড়াল করতে হুজুরদের মাঠে নামিয়েছে। সরকারি টাকায় ইসলামপন্থীরা আন্দোলন করছে। এতে সরকারের দুই লাভ। রোহিঙ্গাসহ দেশের বড় সমস্যাগুলো আড়াল করতে পারা এবং নয়া মার্কিন সরকারকে দেখানো বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থান হয়েছে। আমার মনে হয় যারা এসব কথা ছড়াচ্ছে তারা হয় তো ইসলামপন্থীদের অমনোযোগী করতে চাচ্ছে। এর মধ্যে বিরাট এক চালাকি লুকিয়ে আছে। কারো কী বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি টাকায় আন্দোলন। টাকার কাছে শুধু হুজুররা নয়, অনেকেই কাত। তাইবলে হুজুররা মূর্তি ইস্যুতে সরকারের সুবিধা নেবে, আমাদের হুজুররা সম্ভবত এতোটা পচে যাননি। যারা এখনো মূর্তি এবং প্রাণী অবয়বের ভাস্কর্য নিয়ে দ্বিধায় আছেন বা যারা এই এককে দুই করতে ঘর্মাক্ত হচ্ছেন, তাদের জন্য একটা সহজ সমাধান আছে। আপনারা বঙ্গবন্ধুর একটা ভাস্কর্য এবং একটা মূর্তি বানান। আমরা পার্থক্য দেখতে চাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :