জবি প্রতিনিধি : [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জাতির জনকের মুর্যাল ও ১৯৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি' নামক দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে । কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাঙচুরের ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ও ম্যুরালে পুলিশের নিরাপত্তা পাহাড়া বসে।
[৩] বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শনিবার কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালায়। এমনটি ঘটার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ও ম্যুরালের নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
[৪] বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল এবং প্রধান ফটক থেকে একটু ভেতরে অবস্থিত ১৯৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নামক গুচ্ছ ভাস্কর্যের পাশে পুলিশের পর্যাপ্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
[৫] কোতয়ালী থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ভাস্কর্য বিরোধিতা নিয়ে যাতে নিরাপত্তার কোন বিঘ্ন না ঘটে ও যেকোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহতে তৎপর রয়েছেন তারা।
[৬] ভাস্কর্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠন এটি আন্দোল গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এরমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভাস্কর্য বিরোধীরা ঢাকায় মিছিল করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর শনিবার অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুষ্টিয়া শহরে পৌরসভা থেকে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এঘটনার পরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
[৭] এদিকে, ভাস্কর্য বিরোধী অপতৎপরতা প্রতিহতে প্রশাসনের জোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি এখানকার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনও সোচ্চার হয়ে উঠেছে।শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ভাস্কর্য বিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :