এস এম নূর মোহাম্মদ: [২] একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর একা চলা-ফেরার সামর্থ হারিয়ে ফেলে মানুষ। এমনকি প্রাকৃতিক কাজ সাড়তেও তাকে অনেক সময় অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। আর সে বয়সে পরিবারের লোকজনই সাধারণত পাশে থেকে তার দেখা-শুনা করে।
[৩] সম্প্রতি আমৃত্য ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়ে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে বলেছেন, যাবজ্জীন বলতে ৩০ বছর বুঝাবে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিচারিক আদালত চাইলে কাউকে আমৃত্যু কারাদণ্ডও দিতে পারবেন। আর সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারেই থাকতে হবে।
[৪] অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই সময় কারাবিধি অনুযায়ী নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা করাবে। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দণ্ডিতের অবস্থান আলাদা। আর কাউকে যখন ফাঁসি দেওয়া ছাড়া উপায় নেই, কিন্তু কোন কারণে দিচ্ছে না তখনই তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
[৫] সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমৃত্যু দিলেও সরকার তার ক্ষমতাবলে যে কোন আসামিকে মুক্তি দিতে পারে। আর কারাগারে থেকে বৃদ্ধ বয়সে অথর্ব হয়ে গেলে তার বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। অনেক দেশে নির্দিষ্ট বয়সের পর আসামিদের জন্য প্যারোলের ব্যবস্থা থাকে। আমাদের এখানেও এমন কিছু করতে হবে অথবা তাদের দেখা-শুনার জন্য বৃদ্ধাশ্রমের মতো করতে হবে। সেখানে আসামিদের দেখা-শুনার জন্য নার্সসহ প্রয়োজনীয় লোক নিয়োগ দিতে হবে।
[৬] সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, যদি কেউ এমন হয় যে, একা চলা-ফেরা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে সরকারকে নিশ্চয় ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা দণ্ডিত হলেও সে মানুষ। তার সঙ্গে পশুর মতো নয়, মানবিক আচরণ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :