সুজিৎ নন্দী : [২] জমির মূল্য নির্ধারণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন অধিদপ্তরে সারা দেশে সাবরেজিস্ট্রার অফিসগুলোর উদ্দেশে আদেশ জারি করা হয়েছে। ওই আদেশে সংশ্লিষ্ট এলাকার জমির শ্রেণি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রে জানাতে বলা হয়েছে।
[৩] আদেশে বলা হয়েছে, বর্তমানে জমির নির্ধারিত বাজারমূল্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। বাজারমূল্য বিধিমালা সর্বশেষ সংশোধনী-২০১৫ অনুযায়ী ২০২১ ও ২০২২ সালের জন্য স্থাবর সম্পত্তির বাজারমূল্য নির্ধারণ অতীব জরুরি।
[৪] এই আদেশ অনুযায়ী সারা দেশে জমির শ্রেণি অনুযায়ী অর্থাৎ নাল, কৃষি, ভিটা, ডোবা, বাগান, অকৃষি ইত্যাদিভাবে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হবে। একটি নির্দিষ্ট এলাকার গত ২২ মাসের মধ্যে করা দলিলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মূল্য যাচাই করে তার গড় ধরে নতুন দাম নির্ধারিত হবে।
[৫] চার বছর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমির যে মূল্য নির্ধারণ করা আছে তা বর্তমার সরকারি মূল্য এক নয়। স্থান, শ্রেণি অনুযায়ী একেক জায়গায় একেক দাম। সরকারিভাবে মৌজাভিত্তিক জমির শ্রেণি হিসাবে দাম নির্ধারিত হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চার বছর আগে নির্ধারিত মূল্যে জমি বেচাকেনা চলতে থাকার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
[৬] কোনো কোনো এলাকায় সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে জমি বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা পড়ছেন বিপাকে। আবার কোনো কোনো এলাকায় সরকারি মূল্যের চেয়ে প্রকৃত মূল্য কম হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন বিক্রেতারাও। এ কারণে সরকার নতুন করে জমির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্পাদনা: বাশার নূরু