আনিস তপন: [২] ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
[৩] এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ‘বাংলাদেশ’ নামকরণের ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট, একই মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে ডাক অধিদপ্তর। এ জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ সিলমোহর।
[৪] ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড উদ্বোধন করেন।
[৫] ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জিপিও-এর ফিলাটেলিক ব্যুরো একই দিন সকাল ১০টা থেকে স্মারক ডাকটিকিট উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড বিক্রি করবে। পর্যায়ক্রমে এই স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড দেশের সব জিপিও এবং ডাকঘরে পাওয়া যাবে।
[৬] বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনে লেখা ডায়েরি নিয়ে রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের এক অংশের উদ্ধৃতি দিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ।
[৭] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই আলোচনা সভায় বলেন, এক সময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে “বাংলা” কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।...একমাত্র “বঙ্গোপসাগর” ছাড়া আর কোনো কিছুর নামের সঙ্গে “বাংলা” কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।...জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’ এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :