ইমরুল শাহেদ: প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতৃত্বশীল কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে, তাকে দুটি বিষয়ে বলা হয়েছে।
তিনি প্রথমত প্রযোজক পরিবেশক সমিতির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, দ্বিতীয়ত নিয়োগ পাওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে তাকে নির্বাচন দিতে হবে এবং নির্বাচিত কমিটির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তিনি প্রযোজক পরিবেশক সমিতি ত্যাগ করবেন।
সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, ‘আমরাও মেয়াদের শেষ দিকে ছিলাম। তিন মাস পর আমাদেরকেও নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করতে হতো।’ তারা পূর্বাহ্নে আদালতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, যাননি কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আগে যারা নির্বাচন দিয়েছিলেন তারাও ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। তারা বিবৃতি দিয়েই বলেছেন আমাদের নির্বাচন বৈধ ছিল।
আর মাত্র কয়েক মাসের জন্য আমরা আদালতে গিয়ে কাউকে অভিযুক্ত করতে চাইনি। আরও অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রেখে আমরা আদালতে এখনও যাইনি। তাই বলে সময়তো ফুরিয়ে যায়নি।’ এই কমিটি বিলুপ্তির বিষয় নিয়ে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় আছেন। কিন্তু বিলুপ্ত হওয়া কমিটির পুনর্বহাল চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাবেক কমিটির কেউ এখন পর্যন্ত আবেদনও করেননি বলে শামসুল আলম জানালেন।
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য সচিব আমাদেরকে একটি লিখিত আবেদন করতে বলেছেন। দেখি এ সপ্তাহে আমরা আবেদন করতে পারি।’ তবে সেটাও তিনি নিশ্চিত করে বলেননি। তিনি যখন এই রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তিনি নাগরিক টিভির একটি নাটকের কাজ নিয়ে গাজীপুর এলাকায় ছিলেন। আগামী নির্বাচনেও সাবেক এই কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করবেন বলে তার সঙ্গে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তবে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কারণে অনেকে মনে করছেন পরিচালক সমিতি নেতৃত্বে সামনের কাতারে চলে এসেছে। প্রশ্ন হলো পরিচালক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। মহামারী না থাকলে ২৫ ডিসেম্বরই পরিচালক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :