নাঈমুল ইসলাম খান: [১] নাসিমা খান মন্টি এখন বাংলাদেশের ৪টি জাতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক। সর্বশেষ ০১ ডিসেম্বর তিনি ইংরেজি দৈনিক আওয়ার টাইম-এর সম্পাদক হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। এজন্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন।
[২] নাসিমা খান মন্টি দৈনিক ‘আমাদের নতুন সময়’-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৯ আগস্ট ২০২০ সালে। এর আগে তিনি দৈনিক ‘আমাদের অর্থনীতির’ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন পেয়েছেন ২০১৮ সালের অক্টোবরে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘আমাদের সময়.কম’-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৫ সাল থেকে।
[৩] নাসিমা খান নামমাত্র অথবা নিষ্ক্রিয় অথবা কেবলই কাগজেপত্রে সম্পাদক নন। তিনি পূর্ণকালীন প্রকৃত কর্মজীবী সম্পাদক। পত্রিকার সম্পাদকীয় দায়িত্বের পাশাপাশি, অর্থ এবং সংবাদপত্রের বাণিজ্য সকল বিষয়েই পূর্ণ অংশগ্রহণ, মেধা এবং শ্রম দিয়ে ভীষণ কর্মব্যস্ত দায়িত্ববান সম্পাদক।
[৪] রাতে ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া সম্পাদকীয় তদারকিতে তিনি বিরতিহীন সার্বক্ষণিক। প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্যের সঠিকতা, ভাষার দুর্বলতা এবং শিরোনামের শক্তি এবং সাংবাদিকতার মান, সবই তার আগ্রহ এবং অংশগ্রহণের বিষয়।
[৫] দেশ বিদেশের অনেক খবরেই তার অংশগ্রহণ এবং অবদান থাকে। তার নিউজসেন্স অত্যন্ত প্রখর এবং খবরের জরুরি ও আর্কষণীয় বা চুম্বক অংশ শনাক্ত করতে তার জুড়ি মেলা ভার।
[৬] মন্টি অত্যন্ত আত্মমর্যাদাশীল ও স্বাবলম্বী মানুষ। তার ব্যক্তিত্ব দৃঢ়, কর্মশক্তি প্রবল, ধৈর্য্য অশেষ এবং লক্ষ্য অর্জনে তিনি নিবেদিত ও অবিচল।
[৭] খুবই কর্মব্যস্ত জীবন হলেও তিনি সংসার, সন্তান, স্বামী, স্বজন সকলের জন্যই কীভাবে যেন সময়, সহমর্মিতা ও সাহচর্য নিশ্চিত রাখেন।
[৮] সন্তানদের পেইন্টিং, গিটার, পিয়ানো, সঙ্গীত এবং নিয়মিত পড়াশোনা এবং একান্ত মুরব্বীদের প্রতি সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন তিনি খুব দক্ষতার সাথেই করতে পারেন।
[৯] নাসিমা খান মন্টির সাংবাদিকতায় জীবন শুরু ২০০৪ সালে দৈনিক ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায়। তারপর দৈনিক ‘আমাদের অর্থনীতি’ এবং আনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আমাদের সময়.কম’ এই কয়েকটি পত্রিকায় তিনি সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করে, ধাপে ধাপে বিভিন্ন উচ্চতর দায়িত্ব ও পদে কাজ করছেন।
[১০] মন্টি এটিএন নিউজে কাজ করেন মার্চ ২০১০ থেকে জুলাই ২০১১ পর্যন্ত। এটিএন নিউজে তিনি কেবল দিনের বেলায় কাজের আরাম নেননি, অত্যন্ত আগ্রহের সাথে তিন শিফট অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা কাজের পূর্ণ অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।
[১১] নাসিমা খান মন্টি ১৯৯৭ সালে লোক প্রশাসনে বিএসএস অনার্স করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উইমেন্স স্টাডিজ বিষয়ে এমএসএস করেছেন ১৯৯৮ সালে। তারপর ২০১১ সালে ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ^বিদ্যালয় থেকে আবারও এমএ করেছেন ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিষয়ে।
[১২ নাসিমা খান মন্টি ৩ কন্যার মা। লাবিবা, জূলিকা এবং আডিবা। তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্কে আমার স্ত্রী কিন্তু দিনের বেশিরভাগ সময় আমরা সহকর্মী এবং বন্ধু। তার জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ সালে।
[১৩] নাসিমা খান মন্টির সাংবাদিকতায় আগমন আমার দেখানো উৎসাহে একথা খুব সাধারণ তথ্য মাত্র । প্রকৃত গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা হচ্ছে তিনি স্ব মহিমায়, নিজ প্রতিভা ও গুণে, তার আগ্রহ ও পরিশ্রমে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জীবনে ধীরে ধীরে কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপে আজকের এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। আমার স্ত্রী এই পরিচয় তাকে মূল্যায়নে সামান্যও সুবিধা দেয় না। বরং মিথ্যা সংশয় সৃষ্টি করে। যেকোনো কৌতূহলী মানুষ তার সাধারণ তথ্যানুসন্ধানে যথার্থ উপলব্ধি করতে পারবেন কী পরিমাণ প্রাত্যহিক মেধাশ্রম দিয়ে নাসিমা খান মন্টি তার সাফল্য লাভ করেছেন এবং সেই সফলতাকে আরও এগিয়ে নিতে সক্রিয় রয়েছেন।
[১৪] আমি নাসিমা খান মন্টির উত্তোরোত্তর সাফল্য কামনা করি। অনুলেখক: ফাহমিদা তিশা