ভূঁইয়া আশিক রহমান: [2] সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরের অভিযোগ, ভাসানচর নিয়ে এনজিওগুলো বদমায়েশি করছে। আর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গা গণহত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়ায় নজর দেয়ার পরামর্শ দিলেন অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
[৩] জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের বিরোধিতার পরও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার।
[৪] জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার বাঁধ দেওয়া হয়েছে।
[৫] ১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
[৬] রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়ে সরকার যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক এমন সময়ে জাতিসংঘ, অ্যামন্যাস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার বিরোধিতার মুখে পড়েছে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া। সংস্থাগুলোর বিরোধিতা কতোটুকু যৌক্তিক?
[৭] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মোহাম্মদ জমির বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানিয়েই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। এনজিওগুলো ফাইভ স্টার হোটেল থাকে, আরাম-আয়েশে, সেখান থেকে তাদের নড়তে হবে।
[৮] নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় আমরা দিয়েছি, দুনিয়ার আর কেউ নয়। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমরা রাখি।
[৯] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক বিরোধিতা স্থানান্তর প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জিং হবে না। কারণ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখানে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী করেছে? তাদের উচিত, মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করা। মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের দিকে নজর দিয়ে খামোখা অযথা সময় নষ্ট। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :