ডেস্ক রিপোর্ট : স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শিশুটি (১১)। বাবা মা তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী। প্রতিদিন তাকে ঘরে রেখে বাবা মা পোশাক কারখানায় চলে যান। আর এই সুযোগে ওই বাসার কেয়ারটেকার শাজাহান সিকদার (৫০) শিশুটিকে ধর্ষণ করে। তিনি যুবদল নেতা বলে পুলিশ জানায়।
গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর রূপনগরে এ ঘটনার পর পুলিশ ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে পড়া শিশুটিকে চিকিৎসা শেষে তিন দিন আগে বাসায় নিয়ে আসা হয়। শিশুটি মানসিকভাবে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এখন কাউকে দেখলেই ভয় পায় ওই শিশুটি।
পুলিশ বলছে, শিশুটি ট্রমাটাইজড হয়ে গেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রূপনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২১ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির কেয়ারটেকার শাজাহান সিকদার শিশুটিকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে যায়। ততক্ষণে ধর্ষণকারী শাজাহান সিকদার পালিয়ে যায়।
ওসি আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটি ট্রমাটাইজড হয়ে গেছে। এখন কাউকে দেখলেই শিশুটি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ধর্ষক শাজাহান সিকদার স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য ছিলেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ফেনী ও কুমিল্লায় অভিযান চালানো হয়েছে।
শিশুটির বাবা-মা রূপনগরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী। ঘটনার সময় তারা শিশুটি বাসায় রেখে কর্মস্থলে যান। পরে খবর পেয়ে শিশুটির বাবা-মা বাসায় আসে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ওই দিন সন্ধ্যায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রূপনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় শাজাহান সিকদার ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগমকে আসামি করা হয়। পুলিশ ওই দিন শিল্পী বেগমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
শিশুটির মা জানিয়েছেন, চিকিৎসা শেষে তার সন্তানকে বাসায় আনা হয়েছে। শিশুটি এখনো আতঙ্কে রয়েছে। ৪০/৫০ বছর বয়সের কোনো পুরুষ মানুষ দেখলেই চিৎকার করে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
সূত্র- দেশরূপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :