শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সহকর্মীদের স্ত্রী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গ্রেপ্তার সাবেক বিচারপতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারী সহকর্মী ও পুরুষ সহকর্মীদের স্ত্রী নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করে গ্রেপ্তার হলেন ভারতের হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সি এস কারনান।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের একাধিক প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ কারনানের বিরুদ্ধে।

আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন মহিলা বিচারপতি এবং একাধিক বিচারপতির স্ত্রীদের সম্পর্কেও। এমন মন্তব্যে ভরা একটি ভিডিও তিনি ইউটিউবে শেয়ার করেছিলেন।

এরপরেই চেন্নাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা বুধবার প্রাক্তন বিচারপতি কারনানকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২৭ অক্টোবর চেন্নাইয়ের পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক বিচারপতির লিখিত অভিযোগের পরই এই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের একাধিক বিচারপতির নাম উল্লেখ করে তিনি আদালতের নারী কর্মী ও নারী বিচারপতিদের যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে দাবি করেন সি এস কারনান।

আগেও ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননার দায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল সি এস কারনানের। সেই সময় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চ সেই সাজা ঘোষণা করেছিল।

কোনো কর্মরত বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশের ঘটনা সেটিই ভারতে প্রথম। তবে কারনানকে সে সময় গ্রেপ্তার করা যায়নি।

সুপ্রিম কোর্ট তার ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। বেশ কয়েকদিন পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে।

বিতর্কিত কার্যকলাপের কারণে অনেকবারই শিরোনামে এসেছেন বিচারপতি কারনান। ২০০৯ সালের মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৬ সালে তাকে বদলি করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তখন নিজের বদলির নির্দেশের উপর তিনি নিজেই স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন।

হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি চিঠি লেখেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। তাতে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

প্রথা ভেঙে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিচার বিভাগের নিন্দা করার জেরে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। যাতে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়