সমীরণ রায় : [২] বুধবার একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘১৬ দিনব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘পারিবারিক সহিংসতা: ন্যায় বিচার ও আইনি প্রতিকারের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক অনলাইন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন প্রণীত হলেও ভোলা ও শেরপুরসহ দেশের অনেক জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আইনের অধীনে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
[৩] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনটির দুর্বল প্রয়োগের পেছনে সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। এই আইনে পারিবারিক সম্পর্কের সংজ্ঞায় ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে-বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
[৪] জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, নারীরা যদি সচেতন না হয়, শুধুই আপোষ করে চলে তাহলে নারী নির্যাতন কখনোই কমবে না। পারিবারিক সম্মানের বিষয় চিন্তা করে অনেকেই মামলা করতে চান না।
[৫] সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, প্রত্যেক জেলায় মানবাধিকার কমিশনের শাখা থাকা প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে, সেখানে সিভিল সোসাইটিসহ উন্নয়ন সংস্থাকে যুক্ত করে কাজ করলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
[৬] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, পারিবারিক সহিংসতা আইনের সংশোধনীর পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :