আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ, ঘৃণার চাষাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে এই ৩ সূত্র ব্যবহার করেই আকাশসমাস জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিজেপি ।
[৩] শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্য। ভারতীয় জনতা পার্টি কখনই এই সত্য ও সূত্রগুলো গোপন করেনি। পশ্চিমে এবং এককালীন ভারতীয় আদর্মে চরম পরিতাজ্য এসব বিষয় ব্যবহার করেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিজেপি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইন্দিরা গান্ধী সমকালীন কংগ্রেস ছাড়া ভারতীয় রাজনীতিতে আর কোনও দল কখনই এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। বিবিসি
[৩] শুধু কেন্দ্র সরকার নয়, রাজ্যগুলোর নিয়ন্ত্রণও আগুনে গতিতে নিয়ে নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপি ভারতের রাজনীতিতে প্রায় স্থায়ী পদচিহ্ন রাখতে শুরু করেছে। বদলে যাচ্ছে একের পর এক স্থায়ী শহরের নাম। প্রাচীন গল্প অবলম্বন করে তৈরি হচ্ছে ধর্ময়ি প্রতিষ্ঠান, তফসিলি রাজ্যগুলোর বিশেষ মর্যাদার আর কোনও মর্যাদা নেই। কিন্তু বিজেপি যেনো অজর। তাদের ঠেকানোর বস্তুত কেউ নেই। রাজনৈতিক বিজ্ঞনী সহিাস পালসিকার বিবিসি ইন্ডিয়াকে বলেছেন, বর্তমান বিজেপি ভারতের ইতিহাসের ২য় প্রভাবশারী পার্টি সিস্টেম। ১৯৮৪ সালের পর মোদীই প্রথম নেতা, যার কথা পুরো ভারতে গুঞ্জরিত হয়।
[৪] বিজেপি এ ধরণের প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা আগেও করেছে। আধা স্বশস্ত্র ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস হলো বিজেপির বীজগর্ভ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের উপর ভর করে বিজেপি এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেও পারেনি, কারণ অটল বিহারী বাজপেয়ী আর এলকে আদভানির সম্পর্ক ভালো ছিলো না। কিন্তু এই ভুল করেননি মোদী আর অমিত শাহ। মোদী যদি চেহারা হন, তবে অমিত শাহ মস্তিস্ক। একযোগে তারা ঘৃণার রাজনীতিকে এমন এক স্থানে নিয়ে গেছেন, যা ইতিহাসে খুবকম দলই পেরেছে।
আপনার মতামত লিখুন :