রাহুল রাজ: [২] লক্ষ্য ছিল খুব অল্প। আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেতে বেক্সিমকো ঢাকাকে করতে হতো মাত্র ১০৯ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন লক্ষ্য তাড়া করতে তেমন সমস্যাই হওয়ার কথা নয় কোনো দলের; কিন্তু এত সহজে জিততে পারেনি ঢাকা। ফরচুন বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সহজ ম্যাচটি বেশ কঠিনভাবেই জিততে হয়েছে ঢাকাকে।
[৩] প্রথম জয়ের খোঁজে খেলতে নামা ঢাকার পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন রবিউল ইসলাম রবি, নাইম শেখ, শফিকুল ইসলামরা। তাদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে মাত্র ১০৮ রানেই থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। জবাবে ঢাকার ম্যাচ জিততে খেলতে হয়েছে ১৮.৫ ওভার। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি রাব্বির ৩০ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা।
[৪] রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হন রবিউল ইসলাম রবি। বল হাতে ৪ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ১২ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি ঘরোয়া ক্রিকেটের এ নিয়মিত পারফরমার।
[৫] ইনিংসের সপ্তম ওভারে আবার হয় রানআউট। এবার শিকার নাইম শেখ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে নিজের উইকেট বিসর্জন দিতে হয় নাইমকে। আউট হওয়ার আগে ১ চারের মারে ২০ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
[৬] এরপর রানের চাপ সরানোর চেষ্টা করেন বিশ্বজয়ী যুব দলের বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ২০ বলে ২২ রান করে জুনিয়র তামিম। ঢাকার ইনিংসের ১২ ওভার শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৪ রান। শেষ ৮ ওভারে তাদের জয়ের জন্য বাকি থাকে আরও ৫৫ রান।
[৭] অপরপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মুশফিক। পাঁচ নম্বরে নেমে অধিনায়ককে নির্ভার করেন ইয়াসির রাব্বি। শুরু থেকেই রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন রাব্বি। মূলত তার সাবলীল ব্যাটিংয়েই চাপমুক্ত থাকতে পারেন মুশফিক। এ দুজনের জুটিতে প্রথম ৪ ওভারে আসে ২১ রান। ফলে শেষের ২৪ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ রান।
[৮] কামরুল রাব্বির করা ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ইয়াসির রাব্বির বাউন্ডারিসহ মোট ৯ রান নিয়ে নেয় ঢাকা। আবু জায়েদ রাহীর করার পরের ওভারেও আসে ৯ রান। ফলে ১২ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৬ রানের। যা কি না ৫ বলেই দিয়ে দেন তাসকিন। তার করা ১৯তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৪ রান করা রাব্বি। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ২৩ রান করে।
[৯] এর আগে ঢাকার আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রবিউল রবি বোলিং তোপে পড়ে বরিশাল। মাত্র ১০৮ রানের গুটিয়ে যায় তামিমের দল।
[১০] বল হাতে ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ৮ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছেন নাইম হাসান। শফিকুল মেইডেন করেছেন ২ ওভার। তার ৩ ওভারে ১০ রান খরচায় এসেছে জোড়া উইকেট। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন রবিউল রবি। তার ৪ ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে এসেছে ৪টি উইকেট। - ক্রিকইনফো
আপনার মতামত লিখুন :