ভূঁইয়া আশিক: [২] শিল্পী হাশেম খানের মতে, ‘এই জানোয়ারকে হত্যা করতে হবে’ জঙ্গি ইয়াহিয়ার মুখসম্বলিত পোস্টারটির আবেদন লক্ষ মেশিনগানের সমান ছিলো।
[৩] ২৩ মার্চ, ১৯৭১। শহীদ মিনারে ইয়াহিয়া খানের বিকৃত ১০টি ছবি ঝুলছে। ছবিগুলোর নিচে লেখা ছিলো ‘এই জানোয়ারটা আবার আক্রমণ করতে পারে’। তারপর এ দেশের ইতিহাসের বর্বরতম ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত কেটে গেছে। পরেরদিন ছবিটা আবারও ফিরে এসেছে, তবে এবার নিচের লেখাটা বদলে গেছে। পরে সেটা হয়েছে, ‘এই জানোয়ারকে হত্যা করতে হবে’।- তথ্য রোয়ার বাংলা।
[৪] শিল্পী হাশেম খান বলেন, পাকিস্তান আর্মি অসহায় মানুষকে অত্যাচার করছে, প্রতিদিন হাজার হাজার লোক মানুষ মারছে, জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপনে লড়াই করছেন, ক্যাম্পে ক্যাম্পে ইয়াহিয়ার মুখসম্বলিত ‘এই জানোয়ারকে হত্যা করতে হবে’Ñ পোস্টারটি যখন পৌঁছে যায়, তখন মুক্তিযোদ্ধারা অনেক বেশি উজ্জীবিত ও সাহসী হয়ে ওঠে। এই জানোয়ার ইয়াহিয়া একা নয়, পাকিস্তানি সরকার, নির্যাতনকারী সেনাবাহিনী।
[৫] বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্তমান ডিজাইন কামরুল হাসানের হাতেই করা হয়েছিলো। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক, বিমান বাংলাদেশের লোগোসহ প্রায় চার হাজারের মতো কাজ নিজ হাতে করেছেন তিনি। [৬] সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৩২ সালে উৎপত্তি লাভ করা এ আন্দোলনে কামরুল হাসান যোগ দেন খুব অল্প বয়সে। মূলত দেশপ্রেম সৃষ্টিই ছিলো এ আন্দোলনের লক্ষ্য। ব্রতচারী আন্দোলনের সঙ্গে থেকে লোকনৃত্য ও লোকসংগীত চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রতি একধরনের টান অনুভব করতে শুরু করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :