ফেরদৌস খন্দকার: ‘এক বিলিয়ন’ এই শব্দটিতে কতোটি শূন্য দরকার হয়, তা আমি আদৌ জানি না। জানতেও চাই না। এটাই সত্য কথা। যুক্তরাষ্ট্রের একটা স্টাডিতে দেখা গেছে, এদেশে বছরে যদি কারও ৭৫ হাজার ডলারের উপরে আয় থাকে, সেটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। জীবনমান উন্নয়নে এটি তেমন কোনো সাহায্যই করে না। পেশায় চিকিৎসক, থাকি উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তাই উচ্চবিত্তের মধ্যেই পড়ি বলে আমার মনে হয়। এরপরও মিলিয়ন ডলার ব্যাংকে কখনো দেখিনি। হয়তো দেখবোও না, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু যে ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে পরে থাকা এই এক বিলিয়ন ডলারের মালিক (অথবা ছিলেন); তিনি কি এই অর্থ ব্যবসায় করে জমিয়েছেন? কষ্ট করে অর্জন করেছেন? বৈধ পথে আয় করেছেন? নাকি ফন্দিফিকির করে বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন? এমন প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সংবাদ পড়ে মনে হলো এই বিপুল অর্থ গেছে বাংলাদেশ থেকে। গত কয়েকদিন কেবল ভাবছি, এই এতোগুলো টাকা কীভাবে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে সিঙ্গাপুরে গেলো? এটি কি ওই ব্যক্তি একাই করেছেন? নাকি বিরাট একটি চক্র রয়েছে পেছনে? জানি না। মাথা ঘুরপাক খেয়ে যায় ভাবলে। আপাতত ভাবছি, বাহ আমাদেরও একজন বিলিয়নিয়ার আছে! তবে পুরো বিষয়টি যে একধরনের অসুস্থতা এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :