শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:২২ সকাল
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলতাফ পারভেজ: সিস্টেমের নতুন ‘ভাস্কর্য’ হলো সার্ভিলেন্স ক্যাপিটালিজম

আলতাফ পারভেজ: কেউ ‘মূর্তি’ ভাঙতে চান, কেউ ‘ভাস্কর্য’ গড়তে চান। ভাঙা-গড়ার আলাপ জরুরি বৈকি। কিন্তু চারিদিকে ক্যামেরা নামীয় ওই ‘ফিগার’গুলো যে বসছে সেগুলো নিয়ে ভাঙা-গড়ার সামান্য আলাপই দেখা যায়। ওটাই কিন্তু আসল মূতি এবং চূড়ান্ত ভাস্কর্য। সেটি ‘রাষ্ট্র’। পুঁজিতন্ত্রের নতুন ভার্সন ‘সার্ভিলেন্স ক্যাপিটালিজম’। কিন্তু দুনিয়াজুড়ে একে এমনভাবে হাজির করা হয়েছে যেন ওটা আপনার এবং মানবজাতির নিরাপত্তার জন্যই আবিষ্কার হয়েছে এবং স্থাপিত হয়ে চলেছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশে^ ৭৭ হাজার লাখ সিসি ক্যামেরা বসেছে। এর ৫৪ ভাগ চীনে। সেখানে ইতোমধ্যে প্রতি দুজনের জন্য একটা ক্যামেরা স্থাপিত হয়ে গেছে। এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপও তীব্র গতিতে নজরদারিতে আনছে নাগরিকদের। কারণ এছাড়া ‘রাষ্ট্র’ ও ‘অর্থনীতি’ আর এগোতে পারছে না। বাংলাদেশেও সিসি-ক্যামেরা বাণিজ্যের অগ্রগতি ভালোই। সার্ভিলেন্স ক্যামেরা বাণিজ্যে ধারণা দেওয়া হয়, এটা ‘ক্রাইম’ কমায়।

ব্যাপারটা যে একদম মিছা কথা তা বহুভাবে প্রমাণিত। বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ১০টি শহরের একটিও চীনের নয়। যদিও সবচেয়ে বেশি ক্যামেরা বসা ২০টি শহরের ১৮টি তাদের। সিসিটিভি ক্যামেরা অতি নগণ্য চুরিধারি ঠেকাতে পারলেও সম্পদ পাচার, অর্থনৈতিক লুণ্ঠন, সম্পদ বৈষম্য, বাজার সিন্ডিকেট রুখতে পারে না বা পারার কোনো কারণ নেই। ‘ক্রাইম’ বলতে সার্ভিলেন্স ক্যাপিটালিজম যে ধারণা দেয় সেটাও একটা বড় ধোকা। কিন্তু এর মাঝে বিশ্বে নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবসার আয়তন বেড়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ নাগাদ সেটা ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে। অনেক দেশই জনগণের অর্থে ঋণ করে তাদের ওপর নজর রাখতে এই প্রযুক্তি বসাচ্ছে কারখানা থেকে টয়লেট পর্যন্ত সর্বত্র। হ্যাঁ ব্যবসায়িক হিসাবের বাইরে নজরদারি প্রযুক্তির মূল সুবিধাভোগী হলো ‘সিস্টেম’। সিস্টেমের নতুন ‘মূতি’ (কিংবা ভাস্কর্য) হলো সার্ভিলেন্স ক্যাপিটালিজম। কী ভাঙবেন আর কী গড়বেন, সেটা যার যার পছন্দ আর অভিরুচি। দয়া করে জনগণকে ধোকা দিয়েন না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়