আহমেদ রাজু: আফ্রোদিতি অব নিডোস, সেরা পাঁচটি ভাস্কর্যের এটিও একটি। খ্রিস্টপূর্ব ৩৬৫ সালে এটি নির্মাণ করেন শিল্পি প্রেকজিটেলেস। ভাস্কর্যটি ৮১ ইঞ্চি উঁচু। ১৯৬৯ সালে খুঁজে পাওয়া যায় এটি। তোয়ালে হাতে দেবী আফ্রোদিতি স্নানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটাই হচ্ছে ভাস্কর্যটির থিম। এখন এটি আছে ল্যুভর মিউজিয়ামে। ইলিয়াডের ভাষায় যৌবনে আফ্রোদিতি ছিলো এক সৌন্দর্যের আধার। তার রূপে মোহিত দেবতারা তাকে পাওয়ার জন্য পাগল। কিন্তু ভেনাস ছিলো দারুণ ছলাকলায় পারদর্শী। তার ছিলো জাদুকরী ক্ষমতা। সেই ক্ষমতায় সে সবাইকে প্রেমে ফেলতো। কিন্তু সবাই তার প্রেমে দিশেহারা হলেও সে কাউকে ধরা দিতো না। এ নিয়ে তখন দেবরাজ্যে বিশৃঙ্খলা। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে জিউস ও হেরা তাকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগুন ও শিল্পের দেবতা হেফাইস্টুসের সঙ্গে বিয়ে দেয় তাকে। কিন্তু ভেনাস এ দেবতাকে পছন্দ করতো না। তাই সে এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের পর সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। একের পর এক এরেস, হারমেস, ডায়নোসিস ও বিভিন্ন দেবতার সঙ্গে মিলিত হতে থাকে। স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানলেও হেফাস্টুস বরাবরই চুপ ছিলো। বুদ্ধি ও দক্ষতায় সে স্ত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গের প্রতিশোধও নেয়। হেফাইস্টুস বিশেষ একটি বিছানা তৈরি করে। বিছানা এমন সেখানে কেউ মিলিত হলেই সোনার শেকলে আটকা পড়ে যাবে। একদিন এরেস ও আফ্রোদিতি যখন গভীর প্রেমে মত্ত, সেই শেকলে তারা সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় আটকা পড়ে এবং এভাবেই তারা উপস্থিত হয় দেবপুরীর সবার সামনে। তাদের সহ্য করতে হয় অনেক অপমান। সূর্যদেব হেলিওস যখন হঠাৎ তাদের উপর আলো ফেলে, তখন তারা লজ্জায় লাল হয়ে যায়। শেষে দেবতা পসেইডন তাদের উদ্ধার করে। আফ্রোদিতির প্রেমিকের সংখ্যা অনেক। এনচিসেস, বুটস ও এডনিসের সঙ্গেও তার প্রেম ছিলো। দেবি ভেনাসকে তারা সন্তানও দেয়। বহু দেবতা তার প্রেমে পড়ে উন্মাদের জীবন বেছে নেয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :